Bangla Serial

বেস্ট ফ্রেন্ড আর নেই ‘মিঠাই’, ‘দিদিয়া’ কৌশাম্বি পেয়েছে নতুন ‘প্রিয়’ বন্ধুকে! আদৃতও বাদ! তাহলে কে?

বাংলা টেলিভিশনে দুনিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় এবং পরিচিত মুখ তিনি। সুদীর্ঘ ১০ বছরের‌ও বেশি সময় ধরে তিনি যুক্ত অভিনয় পেশার সঙ্গে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই অভিনেত্রী নিজের ব্যক্তিগত জীবনের চর্চার কারণে স্পটলাইটে রয়েছেন।‌ আসলে বলাই বাহুল্য, তিনি বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম দাপুটে অভিনেত্রী।

একটা সময়ে তিনি ধারাবাহিকের দুনিয়ায় দাপটের সঙ্গে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করলেও এখন পার্শ্ব চরিত্রে কামাল করছেন তিনি। তিনি বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম মিষ্টি চেহারার অভিনেত্রী। অভিনয় দক্ষতাও কিন্তু প্রশংসনীয়। ‌তিনি অভিনেত্রী কৌশাম্বী চক্রবর্তী। তবে জি বাংলার জনপ্রিয় মিঠাই ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি বেশি করে পরিচিতি পান।‌ বলা ভালো অভিনয় প্রশংসার থেকেও বেশি কটাক্ষের কারণে তিনি সমাদৃত হন।

আসলে মিঠাই ধারাবাহিকের নায়ক আদৃত রায়ের সঙ্গে অর্থাৎ উক্ত ধারাবাহিকটিতে নিজের অন স্ক্রিন ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের চর্চার কারণে কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি কৌশম্বীকে। সৌমীতৃষাকে ছেড়ে কেন প্রেমিকা হিসেবে কৌশাম্বীকে বেছে নিলেন আদৃত সেই নিয়েও নেটিজেনরা নোংরা কথায় ভরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী জীবন। কিন্তু কটাক্ষকেও সঙ্গী করে নতুন ধারাবাহিক ফুলকিতে দাপিয়ে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী।‌ পারমিতার চরিত্রে তার অভিনয় দারুন ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

বর্তমানে কৌশাম্বীর প্রিয় বন্ধু কে?

ফুলকি ধারাবাহিকের নায়িকা দিব্যানীর সঙ্গে কিন্তু দারুন বন্ধুত্ব কৌশাম্বীর। সম্প্রতি দুজনের বন্ধুত্বের সেই ঝলক চোখে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিব্যানিকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে তা পোস্ট করেছেন কৌশম্বী। আর তা দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে মিঠাই ভক্তরা। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আগে সৌমীতৃষার সঙ্গেও খুব মিল ছিল কিন্ত এখন… স্বার্থপর কৌশাম্বী।’ অনেকেই এই বন্ধুত্ব কদিন টেকে সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

কেন ভেঙেছিল সৌমীতৃষা ও কৌশম্বীর সম্পর্ক?

উল্লেখ্য মিঠাই ধারাবাহিকের শেষের দিকে একেবারেই ভালো সম্পর্ক ছিল না আদৃত, সৌমীতৃষা ও কৌশম্বীর। শুরুতে গলায় গলায় বন্ধুত্ব থাকলেও পরবর্তীতে আদৃত এবং কৌশাম্বী একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হলে গোঁসা হয় সৌমীর। এর ফলেই ভাঙে সম্পর্ক। মুখে কেউ কিছু স্বীকার না করলেও বিভিন্ন সময় তাদের খারাপ সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।