জি বাংলার (Zee Bangla) একটানা সবচেয়ে বেশি সপ্তাহ ধরে চলা ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। ধারাবাহিকে শুরুতেই দেখা যাচ্ছে বৈদেহি মুখার্জীর সঙ্গে কথা বলছে রাজনাথ মুখার্জী। রাজনাথ বৈদেহির ওপর রেগে গিয়ে চিৎকার করে বলেন তিনি কেন উপল মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি কি জানেন উপলের ব্যাপারে। রাজনাথ বলেন “আমি ভেবে ছিলাম উৎসবকে বাঁচাবো কিন্তু সে যা কাজ করেছে তারপর তাকে বাঁচানো যায় কিনা আমি জানি না। শুধু সম্পত্তির লোভে সে কারুর ক্ষতি করতে পারে সেটা ভাবা যায়না।”
রাজনাথ এও বলেন “আমি কেন বাঁচাবো উৎসবকে, যদি আমি তাকে বাঁচাই তাহলে তো সে আবার ভুল কাজ করবে।” তখন বৈদেহি বলেন এরকম কথা না বলতে, উৎসব তার ছেলে, তাই তাকে বাঁচানো উচিত তাদের, সে একটা ভুল করেছে সেটা আর হবে না তবে তাকে যেন ছড়িয়ে আনা হয় জেল থেকে। তখনই একজনের ছায়া দেখে কে জিজ্ঞাসা করায় সেখানে চলে আসে কৌশিকী। সে বৈদেহিকে বলে তার সঙ্গে কথা বলতে আসছিল তাই এসেছে তার বউমার মতো অভ্যেস তার নেই। সে এও জিজ্ঞাসা করে দিব্যা সেনকে তিনি ফোন করেছিলেন নাকি।
সেটা শুনে তার এই প্রশ্নের কারণ জিজ্ঞাসা করে বৈদেহি। কৌশিকী বলে দিব্যিয়া তাদের ব্যবহার করছে কারণ সে নিজেই সমস্যায় ফেঁসে গেছে। সেটা শুনে বৈদেহী তাকে জিজ্ঞাসা করেন সে কেন উৎসবকে সাহায্য করছে তখন কৌশিকী বলে উৎসব অন্যায় করেছে, উপল মিত্রের মতো একজন অসুস্থ রোগীকে সে কষ্ট দিয়েছে এছাড়াও সে তাকে এবং কাঁকনকে কষ্ট দিয়েছে তাই তার ভুলের শাস্তি সে পাবে। সে যদি নির্দোষ হয় সে ছাড়া পেয়ে যাবে। শুধু তদন্তটা হতে দিতে হবে। তখন সেটা শুনেই রেগে যায় বৈদেহী। ভাবেন কিভাবে তিনি উৎসবকে ছাড়বেন।
আরো পড়ুন: সৃজন আর চয়নের সাহায্যে বাজিমাত পর্নার! বর্ষাকে বাঁচানোর পরিকল্পনা সফল
ওদিকে উৎসবের কাছে চলে এসেছে উপল। তিনি উৎসবকে বলে সে উৎসব তিনি চেনেন সেটা শুনেই ভয় পেয়ে যায় উৎসব। তার নাম কি জিজ্ঞাসা করে ভয় পেয়ে যায় উপল, তার অসুস্থতার কারণে তিনি ঘাবড়ে যান। তবে সবটাই রেকর্ড করতে থাকে সাধু বটব্যালের লোক। তখন সেখানে চলে আসে কৌশিকী। তাকে দেখেই সবটা মনে পড়ে যায় উপলের। তিনি বলেন কৌশিকীকেই মারার চেষ্টা করছিল উৎসব। তাকে সেই কারণে শকও দিয়েছে সে। তাকে মিথ্যে বলে তাকে গুলি চালাতে বাধ্য করেছে সে।
সবটা শুনেই উৎসব বুঝে যায় সবটাই রেকর্ড হচ্ছে তাকে কোর্টে পাঠানোর জন্য। সেটা শুনে কৌশিকীর কাছে ক্ষমা চায় উৎসব। সে বলে তাকে ছেড়ে দিতে, তাকে ক্ষমা করে দিতে, সেটা শুনেই কৌশিকী তাকে বলে সে যা কাজ করেছে তার শাস্তি তাকে পেতেই হবে। সে অনেক খারাপ কাজ করেছে তখন স্বয়ম্ভু উৎসবকে বলে সে আগে অনেক ভুল করেছিল কিন্তু এবার সে সীমা পার করে দিয়েছে, তার মামাকে কষ্ট দিয়েছে উৎসব তিনি তাকে ছাড়বেন না। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি করবে স্বয়ম্ভু?