মেঘ-ময়ূরী আর রূপের ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতার গল্প নিয়েই তৈরি জি বাংলার (Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। বোনের বরকে নিয়ে টানাটানি, নীলকে পাওয়ার জন্য ময়ূরীর ষড়যন্ত্র আর একটি পরিবারের অভ্যন্তরিন জটিলতা নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিক বেশ মনে ধরেছে ধারাবাহিক প্রেমীদের।
পর্বের শুরুতে দেখা যায় নিজের ঘরে বসে কাজ করছে নীল। তখনই ঘরে আসে নীলের ঠাম্মি। নীলকে বোঝায় মেঘ হয়তো আর তাঁর জীবনে ফিরবে না। নীলের উচিত পুরোনো কথা ভুলে গিয়ে নিজের জীবন নতুন করে শুরু করা। মেঘের আশায় সে যেন আর দিন না গোনে। এ কথা শুনে নীল সাফ জানিয়ে দেয়, সে মেঘকে ছাড়া আর কাউকে ভালবাসতে পাড়বে না। তাই একা থাকা সই। কিন্তু অন্য কাউকে মেঘের জায়গা দেওয়া অসম্ভব।
অপরদিকে, একটি ক্যাফেতে দিব্যেন্দু ও গিনি দেখা করেছে। দিব্যেন্দু কিছুক্ষণের জন্য বাথরুমে গেলে সেখানে আসে রূপ। অবাক হয় গিনিকে দেখে। গিনির সঙ্গে কথা বলতে এলে গিনি বলে,”আমি কিন্তু চেঁচাবো রূপ। এটা তোমার বেডরুম নয়। এখানে তুমি আমায় বেঁধে রাখতে পারো না। মারতেও পারো না। ” এর কথা শুনে রূপ বলে, “তোমার সঙ্গে তো ভাল করে কথাই বলা যায় না। কথা বললেই শুধু ঝগড়া।” এই তর্কাতর্কির মধ্যেই ফিরে আসে দিব্যেন্দু।
দিব্যেন্দুকে দেখে রেগে ওঠে রূপ। বলে, “তোরা দুজন এখানে কি করছিস?” পরিস্থিতি সামাল দিতে দিব্যেন্দু বলে, “আমি তো তোকে আর ম্যাডামকে দেখে এখানে এলাম। এখানে কী করছিস তোরা?” তখন গিনি বলে, “আমি এখানে একাই এসেছি। আপনার বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল! আপনার বন্ধুর কুকীর্তির কথা জানেন নিশ্চয়? ওর তো জেলে থাকার কথা। এখন জামিনে ছাড়া পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” এই বলে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যায় গিনি।
কিন্তু দিব্যেন্দুর ফোন তো তার কাছে রয়ে গেছে। কি করে ফেরত দেবেন ফোনটা? তাই দিব্যেন্দুর গাড়ির উপর ফোনটা রেখে, দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে গিনি। রূপের সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ কথা বলে দিব্যেন্দু বাইরে এলে, গিনি তার ফোনে ফোন করে। তাকে মলের বাইরে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। সেখান থেকেই একসঙ্গে গাড়ি করে ফিরবে তারা। ফোনেই দিব্যেন্দু জানায়, রূপ আরেকটি মেয়েকে তাঁর ফাঁদে ফাঁসাচ্ছে। মেয়েটির নাম দময়ন্তী। সে এখন রূপের সঙ্গে ক্যাফের ভিতরেই আছে।
গিনি আর দু’বার না ভেবে রূপ আর দময়ন্তীর কাছে যায়। দময়ন্তীকে গিয়ে বলে, এই যার সঙ্গে সে ঘুরতে এসেছে সে আসলে বিবাহিত। গিনি আইনত তার স্ত্রী। রূপ বধূ নির্যাতনের অপরাধে জেলেও গিয়েছিল। এখন জামিনে ছাড়া পেয়েছে। কিন্তু তাঁর স্বভাবে একটুও বদল আসেনি। গিনির পর সে এখন দময়ন্তীকে ফাঁসাচ্ছে। এই শুনেই দময়ন্তী সেখান থেকে চলে যেতে চায়। কিন্তু যাওয়ার আগে গিনিকে ধন্যবাদ বলে যায় সে।