Bangla Serial

এ কেমন ঠাকুমা? আমি ওর থেকে ওর সন্তানকে কেড়ে নেব! পর্ণার বিরুদ্ধে ফের নতুন চক্রান্ত শুরু কৃষ্ণার

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) চলে এসেছে গল্পে নতুন মোড়। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই বিহার থেকে বিলায়াত সিংয়ের গুন্ডাদের থেকে পরিবারের সকলকে অর্থাৎ বর্ষা, অয়ন আর মৌমিতাকে এবং সমস্ত ভিখারীদের বাঁচিয়ে ফিরিয়ে এনেছে পর্ণা। যেই কারণে খুশি সকলেই। পুলিশের তরফ থেকে সেই কারণে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় পর্ণাকে। পর্ণার এই কাজে এবং সাহসিকতার কারণে বাড়ির সকলেই খুব খুশি কিন্তু এইসব কিছুর পরও খুশি নয় কৃষ্ণা।

পর্ণাকে সে সকলের সামনেই বলেছে যে তার জন্যই বাড়িতে যত অশান্ত হয়েছে, পর্ণার জন্যই বর্ষা মৌমিতা আর অয়নকে বাঁচানোর জন্য ভিখারী সেজে ওই গুন্ডাদের সঙ্গে যেতে বাধ্য হয়েছে। অয়ন আর মৌমিতাও বলে সবকিছুর জন্যই দাই পর্ণা সে যদি পরিবারে সকলকে তার বিরুদ্ধে না নিয়ে যেতে তাহলে আজ তাদের এই দশা হতো না। সবটা শুনে প্রথমে পর্ণা দুঃখ পেলেও সম্বধনার কারণে সকলেই খুশি হয়ে যায়। অখিলেশ দত্তও মনে মনে পর্ণার প্রশংসা করেন।

সেখান থেকে বাড়ি আসেই সকলে মিলে নাচানাচি করার সময় মাথা ঘুরে যায় পর্ণার। তার এই ভাবে সংজ্ঞা হারাতে দেখে সকলেই চমকে যায়। তখন তড়িঘড়ি তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দেয় সৃজন। তারপর ডাক্তার আসে পর্ণাকে দেখে তিনি বলেন পর্ণা অন্তঃসত্ত্বা। সেই সংবাদ শুনে সকলেই খুব খুশি হয়ে যায়। সৃজন তো বিশ্বাসই করে উঠতে পারেনা যে সে বাবা হচ্ছে। সবটা শুনে চমকে যায় কৃষ্ণা নিজেও। সে মনে মনে ভাবে তার বাবু এবার বাবা হবে।

যদিও সংবাদটি শুনে একদমই খুশি হয়নি মৌমিতা আর অয়ন। মৌমিতা ভাবতে থাকে কি ভাবে পর্ণার ক্ষতি করা যায়। কিন্তু কৃষ্ণা পর্ণার যত্ন করতে শুরু করেন। সন্তানের মঙ্গল কামনায় পুজো দেয় এবং পর্ণার হাতে একটি ঠাকুরের ধাগা বেঁধে নেন। পর্ণাকে কোনও ভারী কাজ করতে বারণ করে দেন এবং পর্ণার খেয়াল রাখতে শুরু করে কৃষ্ণা। যেটা দেখে খুব খুশি হয় সৃজন। সে ভাবতে শুরু করে তার মা মুখে যা খুশি বললেও পর্ণাকে তিনি অবশেষে মেনে নিয়েছেন।

আরো পড়ুন: শিবরাত্রিতে ‘হিরোবাবু’ আদিত্যর কামাল! পুরোই ‘গৌরী এলো’-র নকল! কটাক্ষ নেটিজেনদের

যেটা দেখেই সৃজন মাকে জড়িয়ে ধরে বলে “মা আমি খুব খুশি হয়েছি। অবশেষে এইদিন পর তুমি পর্ণাকে মেনে নিয়েছ। তুমি পর্ণার যত্ন নিচ্ছে ওর খেয়াল রাখছ এটা দেখে আমি খুব খুশি।” সৃজনের কথায় কৃষ্ণা হাসলেও তিনি মনে মনে ভাবতে থাকেন “পর্ণা তুমি ভেব না আমি তোমার এত যত্ন নিচ্ছে মানে আমি গোলে গেছি। এইসবটাই আমি করছি আমার বাবুর সন্তানের ভালোর জন্য। একবার এই বাচ্চাটা চলে আসুক তারপর তুমি যেভাবে আমার থেকে আমার বাবুকে কেড়ে নিয়েছ আমিও তোমার থেকে তাঁর সন্তানকে কেড়ে নেব।” তাহলে কি মনে হয় আপনাদের একবার কি করবে পর্ণা? সে কি আদৌ বুঝতে পারবে কৃষ্ণার আসল উদ্দেশ্য?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।