একসময় ক্যামেরার সামনে তাঁর একচ্ছত্র রাজত্ব ছিল। থিয়েটার মঞ্চ, বাংলা ছবি থেকে টেলিভিশন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনুরাধা রায়কে (Anuradha Roy) সবাই এক ডাকে চেনেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয় জীবন ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অকপট সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমি কখনো অভিনয়ে আসতে চাইনি…।” শ্বশুরবাড়ির জোরাজুরিতে অভিনয়ে আসা, তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের সময়কাল।
ছোট থেকেই নাচ, গান শিখেছেন অনুরাধা রায়। শিল্পের প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধা ছিল তাঁর। তবে ক্যামেরার সামনে আসতে ঘোর আপত্তি ছিল অভিনেত্রীর। তাঁর সিনেমার জগতে প্রবেশ কার্যত কাকতালীয় ভাবেই। অভিনেত্রীর শ্বশুরের সঙ্গে পরিচয় ছিল অজয় বন্দোপাধ্যায়ের। আর তাঁর মাধ্যমেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় অনুরাধা রায়ের। ছোট থেকেই লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় মনে ক্যামেরার সামনে আসতে ভয় পেতেন। যদিও পরে এতেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন তিনি।
অভিনেত্রী জানান, তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর থিয়েটারে অভিনয় করেছেন। তারপর বড় পর্দায় কাজ শুরু। টেলিভিশনেও বিভিন্ন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। শান্ত ও লাজুক অনুরাধা রায় ক্রমে সকলের মন জয় করে নেন। হাঁটি হাঁটি পায়ে ৩৫ বছরের অভিনয় কেরিয়ারের দিকে চেয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন: Icche Putul: ‘প্ল্যানটা ছিল ময়ূরীর! ওই আমার সব সময়ের ক্রাইম পার্টনার!’ সবার সামনে মুখোশ খুলল ময়ূরীর! পাগল হয়ে গেল সে
অনুরাধা রায়ের অভিনয় জীবন ছিল অত্যন্ত মসৃন। কখনো কখনো ছবি, ধারাবাহিক কিংবা থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য তাঁকে কারোর কাছে হাত পাততে হয়নি। কখনও এমন চরিত্রের জন্য অনুরোধ করতে হয়নি কাউকে। সবমিলিয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর অভিনয় জীবনের। অভিনেত্রীর কথা, সবসময় সব জায়গায় সম্মান পেয়েছি। সবাই শ্রদ্ধা করেছে, ভালোবেসেছে।
বর্তমানে নানান ধারাবাহিকে কাজ করে চলেছেন অনুরাধা রায়। একসময় ‘বকুল কথা’ ধারাবাহিকে ঠাম্মির চরিত্রে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে জি বাংলার ‘খেলনাবাড়ি’ ধারাবাহিকের একটি চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে ‘খেলনাবাড়ি’। অভিনেত্রী জানান, ধারাবাহিকের শ্যুটিং অভিজ্ঞতা খুব ভালো। সবাই হাসি, মজা করে কাজ করেছেন। আগামী দিনে তিনিও তাঁর সাধ্য মতো অভিনয় জগতে কাজ করে চলবেন।