বছরের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে একাধিক নতুন ধারাবাহিক। বন্ধও হয়েছে অনেক পুরোনো ধারাবাহিক। এরমধ্যে কিছু মেগার গল্পে এসেছে নতুন নতুন ট্যুইস্ট। নতুন মেগা আসায় পাল্টাচ্ছে সম্প্রচারের সময়ও। বর্তমানে ধারাবাহিকগুলো টিকে রয়েছে টিআরপির উপর। যার টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিক তত বেশিদিন স্থায়ী থাকে। আর টিআরপিতে তলানিতে গেলেই ইতির খাতায় নাম লেখাতে হয় সেই ধারাবাহিককে। টিআরপির অভাবে মাত্র তিনমাসেই বন্ধ হয়েছে স্টার জলসার ‘বালিঝড়’।
এবার আরও এক নতুন ধারাবাহিকের এক মাসের মধ্যেই স্লট চেঞ্জ হয়ে গেল। বর্তমানে জি বাংলার নতুন আরও তিনটে ধারাবাহিক আসতে চলেছে। এরমধ্যে একটি হল ‘ফুলকি’। ইতিমধ্যে যার প্রোমো শ্যুট সম্প্রচার হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে টিআরপির তালিকায় বেঙ্গল টপার স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। আর সেই টিআরপিতে দশের মধ্যেও জায়গা করেনি জি বাংলায় নতুন আসা ধারাবাহিক ‘মুকুট’। নতুন এই ধারাবাহিক মাত্র কিছুদিনেই স্লট হারায়। জুটি বাঁধছেন শ্রাবণী ভুইয়াঁ ও অর্ঘ্য মিত্র। নতুন মেগার গল্প লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
২৭ মার্চ থেকে জী বাংলায় শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। রাত ৯টা ৩০ এর স্লটে সম্প্রচারিত হয় ‘মুকুট’। ব্লুজ প্রোডাকশন হাউজের ব্যানারে এসেছে এই ‘মুকুট’। ধারাবাহিকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, শ্রীপর্ণা রায়, অপূর্ব ঘোষের মতো অভিনেতারা। ধারাবাহিকটি আসার অনেক আগে থেকেই দর্শকদের চর্চার কেন্দ্র হয়ে ওঠে এই সিরিয়াল। প্রোমো থেকেই জানা গিয়েছিল, ‘মুকুট’ ধারাবাহিকে ব্যক্ত হবে একজন প্রতিমাশিল্পী মেয়ের গল্প। ধারাবাহিকে এসেছে এক নতুন মোড়। হয়তো লেখক টিআরপি আনতেই গল্পে আনে চলেছে বিয়ের ট্র্যাক।
তবে টিআরপি বাড়াতে নতুন ট্রেন্ড চালু করে ‘মুকুট’। এতদিন আমরা অনেকধরণের বিয়ে দেখেছি, কোথাও নায়িকার সিঁথিতে সিঁদুর পড়ে বিয়ে হয়ে যায়, কোথাও নায়িকাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় বর-বউ-এর অজান্তেই। তবে এবার দেখা গেল, এক ঘরে আটকে গিয়ে মুকুট আর রায়ান। পুলিশ তাদের খুঁজছে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে মুকুটের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতে গেল রায়ান। কিন্তু রায়ান-এর হাত থেকে সিঁদুর কেড়ে নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পড়ল মুকুট। আর তা দেখেই ট্রোল শুরু করে দর্শক।
গল্পের মূল কেন্দ্র হল, দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে পারদর্শী মুকুট। তারপর মুকুট রায়ানকে বিয়ে করে যে সামাজিক ন্যায়বিচারের একজন উৎসাহী উকিল এবং নারী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। পরিবর্তনকে প্রভাবিত করার এবং প্রান্তিক ব্যক্তিদের জীবনকে উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে সে তার কাজের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে এবং কর্মকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে। দেখা গেল, বিয়ের পর আয়ানকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করল মুকুট। এমনকি আগে থেকেই জামিনের কাগজও বানিয়ে রাখে। ভাত কাপড়ের দিনই মুকুটের এরূপ কাজ দেখে অবাক রায়ান। এবার কোন মোড় নিতে চলেছে মুকুটের জীবন?