জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri new episode)। ধারাবাহিকটি কেন্দ্রীয় চরিত্র জ্যাস সান্যাল ওরফে জগদ্ধাত্রী। জ্যাস রূপে লক্ষ্মী গুনে সরস্বতী। মেনন হামলার ভুয়ো কেসে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বয়ম্ভুকে। ডিপার্টমেন্টে যার নামডাক, তার এরকম অবস্থা! স্বয়ম্ভুকে ছাড়ানোর ক্লু পেয়ে গেছে জগদ্ধাত্রী। কাঁকনের স্ক্র্যাপ বুক থেকে অনেক কিছুই জানতে পারে জ্যাস স্যানাল । ইমেইল আইডিগুলো জানতে পেরে যায়। জগদ্বাত্রী জানতে পারে ফোনটা কেনা হয়েছিল দেবুদার নামেই। এমনকি ইমেইল রিকভারির জায়গায় দিব্যা সেনের অপর একটি ইমেল দিয়ে রেখেছিল তারা।
বর্ণালীর বদলে স্টেজে উঠেছে জ্যাস সান্যাল। অনুষ্ঠানের মাঝেই দেবুদা উঠে চলে যাচ্ছিল, তখনই জগদ্ধাত্রী বন্দুক ধরে। অবাক হয়ে যায় দেবুদা, বলতে থাকে কে আপনি। জগদ্ধাত্রী ঘোমটা তুলে নিজেকে দেখায়। সকলের সামনেই ধরা পড়ে যায় দেবুদা। কৌশিকী বলে, জগদ্ধাত্রীর চোখ বাজ পাখির মতো, কিভাবে শিকার ধরতে হয় ও জানে। একজন নির্দোষকে জেলে পাঠিয়েছো ভগবান তোমাদের ক্ষমা করবে না।
স্বয়ম্ভু খুব তাড়াতাড়ি জেল থেকে ছাড়া পাবে এটা বুঝতে পারে বৈদেহী। প্রীতি রেগে যায় কৌশিকীর ওপর, বলতে থাকে যে তোর নিজের বোন তোর কাছে আপন হল না, আপন হল জগদ্ধাত্রী। তুই নিজের বোনের দুঃখ দেখতে পাচ্ছিস না।জগদ্ধাত্রী মনে মনে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে যেন ভালোয় ভালোয় স্বয়ম্ভুকে ছাড়িয়ে আনতে পারে।
ধারাবাহিকের (Jagadhatri) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, কৌশিকী জগদ্ধাত্রীর কাছে আবদার করেছে বৈদেহী মুখার্জি ক্ষমা চাইলে তাকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। জগদ্ধাত্রী সে কথা মেনে নেয়। কাকলি দেবী বৈদেহী মুখার্জি, দিব্যা সেন, দেবুদা সকলকেই খেলিয়েছে কিন্তু জানে না নিজেই এর মধ্যে জড়িয়ে গেছে। জগদ্বাত্রী বলে, সকলকে শাস্তি পেতেই হবে।
প্রীতি ইতিমধ্যেই দেবুর কাছে এসে পৌঁছে জিজ্ঞেস করতে থাকে তুমি কি অপরাধ করেছো। কিন্তু সে কোন উত্তর দিতে পারে না। প্রীতি বলতে থাকে, আমাদের ছোট্ট মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তুমি এমনটা করতে পারলে আমি কি উত্তর দেব ওকে। দেবুদা বলতে থাকে আমি ঠিক ফিরে আসবো আর জ্যাস স্যানালকে বুঝিয়ে দেবো। প্রীতিকে সামলানোর চেষ্টা করলেও কেউই সামলাতে পারছে না তাকে। দেবু যে এমন একটা কাজ করবে ভাবতেও পারছে না সে। জ্যাস দেবুদাকে এতই মেরেছে যে নিজের পায়ে হাঁটতে পারছে না দেবু দা। দেবুকে ছাড়ানোর জন্য কি করবে সেটাই ভাবতে থাকে উৎসব।
আরও পড়ুন: জি বাংলা বনাম স্টার জলসা! টিআরপিতে বড় রদবদল! জগদ্ধাত্রীর দিন শেষ! কামাল উড়ান, কথার
দেবুদাকে অবস্থা দেখে ভয় পেতে থাকে বৈদেহী মুখার্জি। এসব কিছু নিয়ে কাকলি দেবীও বেশ চিন্তায়। কাকলি দেবীর সামনে চিরঞ্জিত এসে বলে আপনাকে একবার ডিপার্টমেন্টে যেতে হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কাকলি দেবী তাদের ধমক দেয়। বলে জানো আমি কে? আমি কাকলি মজুমদার। আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সাহস কারণ নেই, আমি ওপরের মহলে জানাবো তোমরা আমাকে জোর করছো। এরপর কি হতে চলেছে জানতে হলে দেখতে হবে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকটি (Jagadhatri)