জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘পরপর তিনটি ধারাবাহিক থেকে ঝাঁ’টা খাওয়ার হ্যাটট্রিক জিতুর…মিলন তিথি, মহাপীঠ তারাপীঠ, এখন আবার চিরদিনই!’ শুটিং সেটে অস্বস্তি, নতুন আর্য কে?– এই জল্পনার মাঝেই সমাজ মাধ্যমে পুরনো ধারাবাহিকের প্রসঙ্গ টেনে তীব্র কটাক্ষ জিতুকে!

জি বাংলার জনপ্রিয় ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল যেন থামছেই না। জিতু-দিতিপ্রিয়ার মধ্যে দ্বিতীয়বার মতবিরোধের খবর সামনে আসার পর থেকেই সেটের পরিবেশ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল আর সেই জল্পনাকেই আরও ঘন করেছে জিতু কমলকে (Jeetu Kamal) ‘আর্য’ চরিত্র থেকে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা! যদিও শুটিং যে পুরোপুরি থেমে গিয়েছে এমন নয়, তবু সংশ্লিষ্টদের কথাবার্তায় পরিষ্কার যে বিশেষ কিছু দৃশ্য করতে গিয়ে দুই অভিনেতার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছিল আর তার প্রভাব পৌঁছেছিল নির্মাতাদের কাছেও।

দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও সমস্যা যে পুরোপুরি মিটে যায়নি এখনই, জিতু যে ধারাবাহিকের অংশ থাকবেন না প্রায় নিশ্চিতই বলা চলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে ফের ভেসে উঠেছে অভিনেতার অতীতে একাধিক ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়ার পুরনো স্মৃতি! স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিলন তিথি’র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে করতে রাতারাতি পাল্টে ফেলা হয় তাঁকে। অনেকেই মনে করছেন, তখনও নাকি এরকমই গোলমালে জড়িয়েছিলেন জিতু। সেই ধারাবাহিকের নায়িকার চরিত্রে ছিলেন উষসী রায়।

তাঁর সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণ এবং বিব্রত করা কথাবার্তার কারণেই নায়ক থেকে তাঁকে হঠাৎ বাতিল করা হয়েছিল জিতুকে, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। যদিও আসল কারণ নিয়ে বিশেষ কিছু প্রকাশ্যে আসেনি। তবে, আজকের পরিস্থিতি সামনে আসতেই দর্শকের একাংশ অতীত অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল খুঁজে নিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে বরাবর অসুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি হওয়াই সম্ভবত তাঁকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের পিছনের অন্যতম কারণ। এমন মন্তব্য আবার একপেশে বলে মনে করছেন জিতুর অনুরাগীরা।

তাঁদের মতে, কোনও একটি ঘটনার ভিত্তিতে শিল্পীর পেশাদারিত্ব নিয়ে রায় দেওয়াটা ঠিক নয়। তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, বড় প্রজেক্টে মতবিরোধ হতেই পারে আর তা সবসময় ব্যক্তিগত ব্যবহারের কারণে হয় এমনও নয়। এদিকে স্টার জলসার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের ঘটনাও নতুন করে টেনে আনা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকে ছোটকুমার আনন্দ নাথের ভূমিকায় অভিনয় করতেন জিতু। সেখান থেকেও একসময় জিতুকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, যদিও কারণ নিয়ে তখনও তেমন কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পড়েছে শোরগোল।

পরপর তিনটি ধারাবাহিক থেকে কোনও অভিনেতাকে এমনভাবে বের করে দেওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন! তাই এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠছে সেটাই স্বাভাবিক। সমাজ মাধ্যমে ব্যঙ্গ করে অনেকেই বলছেন, “সিরিয়াল থেকে ঝাঁ’টা খাওয়ার হ্যাটট্রিক করলো জিতু কমল! মিলন তিথি, মহাপীঠ তারাপীঠ, এখন আবার চিরদিনই!” অনেকে আবার এই তিনটি ঘটনাকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করছেন, যদিও প্রত্যেক কাজের প্রেক্ষাপট আলাদা, এই কথাটাও ভুলে গেলে চলবে না।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন আরও জটিল হচ্ছে। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ দিতিপ্রিয়াই আপাতত থাকছেন বলেই শোনা যাচ্ছে, কিন্তু নতুন আর্য কে হবেন বা কবে থেকে পরিবর্তন কার্যকর হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। দর্শকদের উদ্বেগের জায়গাটা এখানেই! গল্পের পরিণতি যেমন একধাপ আটকে আছে, তেমনই অনিশ্চয়তায় রয়েছে অভিনেতাদের ভবিষ্যৎও। সময়ই শেষ পর্যন্ত বলবে, এই টানাপোড়েন থেকে ধারাবাহিক স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে নাকি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় বিতর্কিত কারণে!

Piya Chanda