জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: নতুন প্রোমোতে চমক! বিজয়া দশমীতেই কি হবে শিমুলের বিসর্জন?

যত দিন যাচ্ছে ততই যেন জটিল হচ্ছে বাংলা ধারাবাহিক মনের কথা কই-য়ের গল্প। এই মেগা শুরুর সময় থেকেই পারিবারিক কূটকাটালিকে প্রাধান্য দিয়েছে নির্মাতারা। প্রথম প্রোমোতে দেখা গিয়েছিল পাড়ার বউদের মধ্যেকার একটা শক্তিশালী বন্ধুত্বই হবে ছবির গল্প। তবে একাধিক বিতর্কমূলক পর্ব দেখিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল এই ধারাবাহিক।

ইতিপূর্বে ফুলশয্যার খাটে নায়কের মায়ের ঘুমানো নিয়ে সমালোচনায়ে তোলপাড় হয়েছিল নেটমহল। এই পর্বে দেখা গিয়েছিল ছেলের কাঁধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন মা। আর বৌয়ের ঠাঁই হয়েছিল সোফায়। পরের দৃশ্যতে দেখা যায় শিমুলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছে পরাগ। যা আসলে বৈবাহিক রেপ ছাড়া আর কিছু নয়।

kar kacche koi moner kotha

শিমুলের সঙ্গে তাঁর শাশুড়ি মায়েরও বনিবনা হয় না। বিয়ের পর শিমুলের উপর মানসিক নির্যাতন চালায় তাঁর শাশুড়ি। ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kacche Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকের শুরু থেকেই উঠে এসেছে গার্হস্থ্য হিংসার ছবি। শাশুড়ি বৌয়ের ঝগড়া। তবে এই মুহূর্তে হঠাৎই যেন কেমন পাল্টি খেয়েছে শিমুলের সেই ‘দজ্জাল’ শাশুড়ি। শিমুলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে তার দরজাল শাশুড়ি। সাম্প্রতিক এপিসোড গুলিতে তা দেখে চোখ ছানাবড়া দর্শকদের।

ধারাবাহিকের প্রময় দেখা যাচ্ছে, দশমীর দিন সিঁদুর খেলার মেতে শিমুল। হঠাৎই বিপাশা তাকে এসে বলে বিসর্জনে নাকি সারপ্রাইজ আছে। কিসের সারপ্রাইজ? সিদ্ধি। যা শুনে আরো আনন্দে মেতে ওঠে শিমুল। কিন্তু আড়াল থেকে তার দেওর পলাশ পরাগকে বলে সে সিদ্ধিতে বিষ মিশিয়ে দেবে। পরাগ শিমুলের মরে যাবার ভয় পেলেও, পলাশ তাকে বলে, ‘ও মরলে তোর কি।’

পরেক্ষণই দেখতে পাওয়া যায়, সিদ্ধি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় শিমুল। পলাশ ছুটে আসে তাকে দেখে। তখনই শিমুল চোখ মেলে বলে, ‘কেন করলে এরকম দেখতে এসেছিলে মরে গেছে কিনা?’

আরও পড়ুনঃ মিশকার সন্তানকে সূর্য কোলে তুলে নিল! অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকে নয়া মোড়

প্রসঙ্গত মনের কথা কই ধারাবাহিকের গল্প আসলে নারি কেন্দ্রিক। শিমুল ও তার বন্ধুরা মিলে একটি নাচের দল তৈরি করেছে। এই দলের নাম মনের কথা কই। শিমুলের উদ্দেশ্য নাচের দলের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তুলে ধরবেন নারীদের উপর অত্যাচারের গল্প।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।