জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলে এসেছে এক নতুন ঝড়। শিমুলের মতোই এবার কপাল পুড়ল বিপাশারও। দিনের পর দিন চন্দন কিভাবে বিপাশাকে ঠকিয়েছে সেটাই প্রমাণ করার জন্য বিপাশাকে মধুরিমার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শিমুল, সুচরিতা আর শির্ষা। শিবরাত্রিতে বাবার মাথায় জল ঢেলে অনুষ্ঠান করে সকলেই চলে যায় চন্দনের আরেকটি বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়েই দরজা ধাক্কাতে শুরু করে বিপাশারা। মধুরিমা রান্না ঘর থেকে আসে দেখে চন্দনকে জিজ্ঞাসা করে কে এসেছে।
তখন চন্দন বলে সে খাওয়ার অর্ডার দিয়েছে তাই হয়তো ডেলিভারি বয় খাওয়ার নিয়ে এসেছে। সেটা শুনে মধুরিমা বলে খাওয়ার অর্ডার দেওয়ার কি দরকার ছিল সে নিজেই রান্না করত কিন্তু তাকে চন্দন বলে একটা দিন সে আসে তাই সে চায় এইদিনটা মধুরিমা তারা সঙ্গেই কাটাক। মধুরিমা চন্দনকে জিজ্ঞাসা করে যদি বিপাশা আর তার বান্ধবীরা আসে থাকে। সেটা শুনে চন্দন বলে সেটা সম্ভব নয়, বিপাশাকে সে বলেছে সে তারকেশ্বর কাজে যাচ্ছে।
সেই কথা শুনে সাহস করে মধুরিমা যায় দরজা খুলতে কিন্তু দরজা খুলেই মধুরিমা দেখে বিপাশাকে। বিপাশা চন্দন, মধুরিমা আর তাদের মেয়েকে দেখে অবাক হয়ে যায়। তারা সকলেই ভিতরে ঢুকে যায়। বিপাশা চন্দনকে বলে “এই তোমার তারকেশ্বরের কাজ।” তখন চন্দন নিজের দোষ ঢাকার জন্য বলে সে তারকেশ্বর যাচ্ছিল কিন্তু তার বন্ধুর হটাৎ অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যাওয়ায় সে এখানে এসেছে। সেটা শুনেই বিপাশা বলে তাহলে সে তাকে কেন বলেছিল যে সে তারকেশ্বর পৌঁছে গেছে।
তখন চন্দন বলে শিমুলরা সবাই মিলে তাকে ভুল বুঝিয়েছে তাদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য। চন্দন এও বলে যে শিমুল আর সুচরিতা দির বিয়ে টেকেনি আর শীর্ষার সঙ্গে তার বরের সমস্যা চলছে তাই সকলে মিলে চাইছে তাদের সম্পর্ক ভাঙতে। তখন শীর্ষা বলে আপনাদের সকলকে দেখে যদিও নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না তবে তার স্বামীর সঙ্গে তার লং ডিসটেন্স সম্পর্ক থাকলেও তার স্বামী এরকম নয়। তখন বিপাশা গিয়ে মধুরিমাকে জিজ্ঞাসা করে তার নাম এবং স্বামীর নাম তখন মধুরিমা তাকে সত্যি বলে দেয়। বিপাশা রাগে তাকে থাপ্পর মারে।
আরো পড়ুন: অয়নের খেল খতম! তার মুখ থেকে সমস্ত সত্যি বের করে রেকর্ড করল পর্ণা! নিম ফুলের মধুতে আসছে বিরাট বড় চমক
তখন বসুন্ধরা আসে বিপাশাকে জিজ্ঞাসা করে সে কেন তার মাকে মারল তখন বিপাশা ভাবে এইভাবে বাচ্চাটার সামনে তার মাকে মারা ঠিক হয়নি। তখন বিপাশা মধুরিমাকে জিজ্ঞাসা করে চন্দন যে বিবাহিত সে জানত কিনা তখন মধুরিমা বলে সে কিছু জানত না, যখন জানতে পেরেছে তখন সে অন্তঃসত্ত্বা। তাই সে চন্দনকে ছাড়েনি। তখন বিপাশা বলে সে চন্দনের অফিসে গিয়ে সব জানাবে কিন্তু চন্দন তাকে বারন করে। বিপাশা বলে এই বাচ্চাটার কথা ভেবে কি কিছু করছে না। বিপাশা ক্ষমা চায় শিমুল এবং তার বান্ধবীদের কাছে। কান্নায় ভেঙে পরে বিপাশা। তবে শিমুল তাকে বলে চন্দনকে ডিভোর্স না দিতে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি সিদ্ধান্ত নেবে বিপাশা?