জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। ধারাবাহিকের গল্পটি প্রথম থেকেই দর্শকদের খুব পছন্দ হয়েছে। ধারাবাহিকের প্রধান মুখ্য চরিত্রে থাকা পর্ণার (Parna) ইচ্ছা ছিল যৌথ পরিবারে বিয়ে করার। সেই ইচ্ছা মতোই সৃজনকে (Srijan) বিয়ে করে যৌথ পরিবারের সদস্য হয় পর্ণা। কিন্তু পর্ণাকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না কৃষ্ণা (Krishna) অর্থাৎ পর্ণার শাশুড়ি। সে সুযোগ পেলেই পর্ণা ও সৃজনের ডিভোর্স করানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। বর্তমানে সৃজন ও পর্ণার সম্পর্কের মধ্যে এক বিশাল দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে।
বাড়ির সকলের ভালো জন্য পর্ণা প্রথম দিন থেকেই কিছু না কিছু করে চলেছে। সে খুবই বুদ্ধিমান, চালাক ও সাহসী মেয়ে। সংসার সামলানোর পাশাপাশি একজন সাংবাদিক পর্ণা। তাই ক্রিমিনাল কেস নিয়ে তাকে বেশি স্টাডি করতে হয়। সম্প্রতি পর্ণার দেওর চয়ন (Chayan) পুলিশের চাকরি পেয়েছে। আর তারপরই তার হাতে এক নতুন কেস এসেছে। শহরে চুরির উপদ্রব খুব বেড়েছে। পাড়ার অনেকের অনেক সোনার জিনিস সকালবেলা জনবহুল এলাকা থেকেই সকলের সামনে চুরি করে পালাচ্ছে অপরাধীরা।
পর্ণার শাশুড়ি কৃষ্ণার সোনার হারটাও চুরি করেছে তারা। পর্ণা ও চয়ন মিলে আসল অপরাধীর সন্ধানে তাই লিপ্ত হয়েছে। পর্ণার সাথে থাকে রুচিও (Ruchi)। তারা জানতে পেরেছে এসকল অপরাধের পেছনে রয়েছে মেঘনাদ বলে একজন। এদিকে মেঘনাদের নজরে পড়েছে এবার দত্ত বাড়ির প্রাচীন গণেশ মূর্তি। যা দত্ত বাড়ির এক ঐতিহ্য। এবার সেই মূর্তি চুরির উদ্দেশ্যে পুলিশের সামনেই পর্ণার বন্ধু রুচিকে কিডন্যাপ করে তুলে নিয়ে যায় মেঘনাদের লোক। তারপরই পর্ণার কাছে মেঘনাদের ফোন আসে।
মেঘনাদ পর্ণাকে বলে, যদি রুচিতে বাঁচাতে চায় সে তাহলে ওই প্রাচীন গণেশ মূর্তি তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। আর যদি পর্ণা পুলিশের সাহায্য নেয়, তাহলে রুচির ক্ষতি করবে তারা। পর্ণা বুঝতে পারে তারা খুবই সাংঘাতিক। তাই রুচির কেসটা থেকে পুলিশকে সরে যেতে বলে পর্ণা। পুলিশ পর্ণাকে বারণ করে কিডন্যাপারের কথা শুনতে। কিন্তু পর্ণা জানে, যদি কোনোভাবে তার কানে যায় যে পর্ণা পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে, তাহলে তারা রুচির ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ‘আগুনটা তুই লাগিয়েছিলি রুদ্র’! ফুলকির জন্যই রোহিতের সামনে রুদ্রর মুখোশ ফাঁস
ঘটনাস্থল থেকে পর্ণা চয়নের সঙ্গে বাড়ি ফেরে। একটা চুরি আটকাতে গিয়ে একজন মানুষের প্রাণ সংশয় হতে বসেছে, এমন ভাবতে ভাবতে পর্ণা ঠাম্মির কাছে যায়। ঠাম্মিকে রুচির ব্যাপারে সব খুলে বলে। ঠাম্মি পর্ণার মুখে সব শুনে অবাক হয়। রুচির জন্য দত্ত বাড়ির সেই মূর্তি পর্ণার হাতে তুলে দেয় ঠাম্মি। এরপরই কৃষ্ণা পর্ণাকে দেখে বারংবার তার সোনার গহনার কথা জানতে চায়। পর্ণা কিছু না বললে নিজেই পর্ণার ব্যাগ খুলে দেখতে গিয়ে দেখে পর্ণার ব্যাগে গণেশের মূর্তি। যা দেখে অবাক হয়ে যায়। ঠাম্মি রাজি হলেও এবার কি কৃষ্ণা বাধা হয়ে দাঁড়াবে মূর্তিটি মেঘনাদের হাতে তুলে দিতে? আসছে ধামাকাদার পর্ব।
View this post on Instagram