মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী গাঙ্গুলী (Nandini Ganguli) -নেট দুনিয়ায় স্ক্রল করলেই কিছু না কিছু খবর তাঁকে ঘিরে রয়েছে। দিদি নম্বর ১-ও (Didi No.1) তিনি গিয়েছিলেন। ডালাহৌসিতে একটি ভাতের হোটেল চালান তিনি। আশপাশের বহু মানুষরা লাঞ্চের সেরা ঠিকানা মনে করেন এই নন্দিনীর দোকান (Nandinir Hotel)। যদিও তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, এই দোকানটি তাঁর নিজের নয়। করোনার সময় মা-বাবাকে সাহায্য করতে হাত বাড়িয়েছিলেন তিনি। তারপর বহু পরিশ্রম ও সমস্ত সেভিংস লাগিয়ে দিয়ে দোকানটি গড়ে তোলেন।
এখন ডালহৌসি মানেই একবার সেই দোকানে উঁকি মারেন সকলেই। একসময় দিনে ১০ জন গ্রাহক হত, তবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) জেরে এখন সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে একশো-দেড়শোতে। আর এই সাফল্যের কারণ মিডিয়াই, যা সকল দোকানকে টপকে নন্দিনী দির দোকানকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। যদিও দোকানের মধ্যে যে বিশেষ কিছু সাজশয্যা রয়েছে, তা নয়। নন্দিনী দি নিজের হাতে সেখানে রান্না করে, পরিবেশন করে সকলকে। সাথে থাকেন নন্দিনী দির মা-বাবা।
আরও পড়ুনঃ গ্রাহকের সঙ্গে হাতাহাতি নন্দিনী দি ও বাবার! খুন্তি নিয়ে তেড়ে গেল, মারল থাপ্পড়! দেখুন ‘ভাইরাল নন্দিনী’
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে নন্দিনী দি দোকানটিকে দাঁড় করিয়েছিলেন, আর সেই দোকানটি উঠে যাবে এমন দাবি করলেন এক মিডিয়ার সামনে। যা শুনে নেটিজেনদের প্রশ্নের ঝড় ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন নন্দিনী দির সুনাম হয়, ঠিক সেরকম ইউটিউবারদের মাতামাতি কারও কারও কাছে ‘অসহ্য’ ঠেকছে বহুদিন ধরেই। পরিচিতি পেয়ে নাকি নন্দিনী দির দেমাক বেড়েছে, এমন কথাও শুনতে হয় তাঁকে।
অফিস পাড়ার ফুটপাথে রোদ-ঝড়-জল উপেক্ষা করে নন্দিনী দির চালানো ভাতের হোটেলে খাবার খেতে বাংলাদেশ থেকেও মানুষ ছুটে এসেছেন। একরাশ কষ্ট নিয়ে এবার এক ইউটিউবারকে নন্দিনী দি জানালেন, এবারে হয়তো তাঁর এই রাস্তার ধারের পাইস হোটেলটাই বন্ধ করে দিতে হবে। নন্দিনী সেখানে বলছেন, ‘দু দিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে না-ও দেখতে পারিস।’ তাঁর মুখে এই কথা শুনে অনেকে অনেক প্রশ্ন করেন।
আরও পড়ুনঃ ‘বড় অহংকার হয়েছে?’, কেঁদে ফেললেন নন্দিনীদি! সাক্ষাৎকারের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ ভাইরাল স্মার্ট দিদি
কোনো কোনো মানুষ প্রশ্ন করে তিনি কি নতুন কোনও জায়গায় স্থায়ী দোকান দিয়েছেন? নাকি ফুটপাথ থেকে তাঁকে জোর করে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে? যদিও দিদি এখনও কিছুই খোলসা করতে চাননি। শুধু বলেন, ‘বলব, বলব…’ এর উত্তর জানাতে তিনি সব ইউটিউবারকেই ফোন করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর কোথায়, “তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে। নন্দিনী থেকে নন্দিনী দিদি হয়েছি। পাঁচজন থেকে পঞ্চাশজন, একশোজন-দেড়শো জন (গ্রাহক), যাই পেয়েছি তোদের জন্যই পেয়েছি। তোদের জন্যই আজকে আমি মমতা থেকে নন্দিনী দি হয়েছি।”