জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নয়া টুইস্ট ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে, শিমুলের কথা শুনে চমকে উঠলেন মধুবালা!

শুরুটা ছিল তিক্ততায় ভরা। আর পাঁচটা ধারাবাহিকের মতই দেখানো হয়েছিল শাশুড়ি-বৌমা ঝগড়া ও পারিবারিক কোন্দল। এমন কি ছেলের ফুলশয্যার ঘরেই রাত্রি যাপন করেছিলেন মা। তবে শাশুড়ি-বৌমা সম্পর্কের সমীকরণ বদলেছে। সম্প্রতি কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকে (Bengali Mega serial) জমে উঠেছে বউমা-শাশুড়ি রসায়ন। বৌমা শিমূল তাঁর ভালবাসায় ভরিয়ে পাল্টে দিয়েছে শাশুড়ি মনন।

রুক্ষ স্বভাবের শাশুড়ি মধ্যে লুকিয়ে থাকা মিষ্টি স্বভাবের মানুষটিকে টেনে বের করে রেখেছে সে। আর এখনতো জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই করে শাশুড়ি-বৌমা মিলে। সম্প্রতি গল্প যেদিকে মোড় নিয়েছে তা দেখলে বোঝা যায়, শাশুড়ি-বৌমা এক টিমে। আর অন্য টিমে রয়েছে পলাশ-পরাগ, দুই ভাই। শিমূল ও তাঁর শাশুড়ির এই মিল দেখানোর পর তরতর করে টিআরপি বেড়েছে এই ধারাবাহিকের। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকটি নিয়েছে নয়া মোড়।

পর্বের শুরুতে দেখা যায় জ্ঞান ফিরেছে শিমূলের। শিমূলের মা তাঁর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। অন্যদিকে, পুলিশের কাছে গিয়েছে বিপাশা, বর্ষা, সুচরিতা। এবং আলাদা ভাবে গিয়েছে পলাশ ও পরাগ। বিপাশারা পুলিশকে জানায়,শিমূলকে বিষ দিয়েছে পরাগ। অনেকদিন ধরেই শিমূলের বিরুদ্ধে নানান চক্রান্ত করেছে সে। পরাগ সে কথা উড়িয়ে দিয়ে, তাঁদের দিক থেকেও অভিযোগ দায়ের করে।

এদিকে শিমূলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁর শাশুড়ি মধুবালা তাঁকে জিজ্ঞেস করে, কে বিষ দিতে পারে শিমূলকে? শিমূল জানায়, এটা কোনো বাড়ির লোকের কাজ। বাড়ির কেউই করতে পারে। এতসব শুনে শিমূলের মা তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বলে, শিমূলের বাবার পেনশনের টাকা ও শিমূল চাকরি করলে সেই টাকায় তাঁদের বেশ চলে যাবে। দরকারে আলাদা ঘর নিয়ে থাকবেন তাঁরা দুজন। সবাই সহমতি দিলেও, বেঁকে ও তাঁর শাশুড়ি।

আরও পড়ুন: আমাকে প্রপোজ করতে ভয় পায়! বিয়ে করলে সবাইকে জানিয়ে করব! অকপট ‘পুতুল’ শ্রীতমা ভট্টাচার্য

প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহে টিআরপি তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্টার জলসার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিক। গত সপ্তাহের টিআরপি তালিকা ওলোট-পালোট করে টপে এসেছে এই সিরিয়াল। এতদিন যে তালিকার শীর্ষে থাকতঁ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ বা জগদ্ধাত্রী।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।