Bangla Serial

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: নাটক শুরু শাশুড়ির! সমুদ্র থেকে ফিরে পুতুলের গায়ে কাটা দাগ দেখে শিমুলকে দোষ দিতেই পরাগের আসল রূপ তুলে ধরল

‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha), জি বাংলায় (Zee Bangla) সম্প্রতি আসা এই ধারাবাহিক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সমাজে নারীদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই ফুটিয়ে তুলছে এই ধারাবাহিক। উক্ত মেগায় রয়েছেন মানালি দে (Manali Dey)। ২০০৯ সালের স্টার জলসার ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে তিনি একসময় জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন। ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ফের একবার দর্শকদের ‘বউ কথা কও’এর মানালীকে নতুন রূপে তুলে ধরল। যদিও দুই ধারাবাহিকের মাঝে তিনি আরও অনেকগুলি ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন।

বেশকিছু দর্শকদের মতে, ধারাবাহিকের নেগেটিভ চরিত্রের উপস্থিতি একটু বেশি। তবে বাস্তবের রূপটি ফুটিয়ে তুলতে এটির প্রয়োজন আবশ্যিক। সাদামাটা প্রতিবাদী মেয়ে শিমুল (Shimul) শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নিজের সম্মানের জন্য একের পর এক লড়াই করে চলেছে। বাড়ির বউ হিসাবে তার গান গাওয়া, নাচ, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মেশা, বাইরে বেরোনো- এগুলো সবই মানা রয়েছে শিমুলের। প্রথম কিছুদিন শিমুলকে স্বামী, দেওর ও শাশুড়ির কাছে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। বলা যায় নিজের অস্তিত্বই হারিয়ে বসেছিল শিমুল।

kar kache koi moner kotha, zeebangla

সময় এগোনোর সাথে সাথে শিমুল কঠোর হয়েছে। নিজের জন্য সে লড়তে চলেছে। আর তাই সে স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে। সাথে শিমুল তার ননদ পুতুল, যে মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন, তাকেও নিয়ে যাবে বলে ঠিক করে। যদিও এক্ষেত্রে বাড়ির সকলে আপত্তি জানালেও শাশুড়ি সায় দেয়। কিন্তু এই ঘুরতে যাওয়া তেমন ভালোভাবে হল না শিমুলের। সেখানে গিয়ে নানান বিপদের সামনা করতে হয়। প্রথমত সুচরিতার মেয়ের শরীর খারাপ, দ্বিতীয়ত সুচরিতার স্বামীকে অন্য মেয়ের সাথে সেখানে দেখা, তৃতীয় বড় বিপদের মুখে পরে যায় পুতুল।

শিমুলের ননদ পুতুলকে সমুদ্রে না নামার জন্য শিমুল বারংবার বলেছিল। কিন্তু পুতুল শিমুলের কথা না শুনে জলে নামে ও ডুবতে বসে, আর সেখানে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে নুড়ি-পাথরে হাত পা চিড়ে যায়। যদিও পরে শিমুল তাকে বাঁচিয়ে নেয়। এরপর শিমুল বাড়ি ফিরলে পুতুলের অল্প আঘাতের চিহ্ন দেখেই শাশুড়ি শিমুলকে কথা শোনায়। সবকিছুর জন্য শিমুলকেই দোষী করে। পাশাপাশি এতদিন বাড়ির বাইরে থাকায় শিমুলের স্বামীও শিমুলকে খারাপ খারাপ কথা বলে।

সমস্ত কিছু সামলে শিমুল বাড়ি ঢুকতে না ঢুকতে সকলের মুখে কটূক্তি ও নানান প্রশ্ন শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারে না। বিশেষ করে যখন তারমাঝেও বাপেরবাড়ির কথা ওঠে। শিমুল রেগে গিয়ে তখন পরাগের করা অত্যাচার বাড়ির সকলের সামনে তুলে ধরে। প্রতি রাতে যে শারীরিক অত্যাচারের মুখোমুখি শিমুলকে হতে হয়, সেই কথাই শিমুল শাশুড়ির সামনে প্রকাশ করে। তবে কি এবার শিমুলের শাশুড়ি ছেলের বিরুদ্ধে কথা বলবে নাকি এখানেও শিমুলেরই দোষ ধরবে?

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।