Bangla Serial

শাশুড়ি তো নয় যেন আস্ত গিরগিটি! পরাগকে বিষ দেওয়া কান্ডে ফের শিমুলকে অবিশ্বাস মধুবালার! দেখে চটেছেন দর্শকরা

এই মুহূর্তে যাকে বলে জমে ক্ষীর হয়ে গেছে জি বাংলার পর্দায় চলা ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। দর্শকরা যাকে বলে একেবারে মজে রয়েছেন এই ধারাবাহিকে। আসলে উত্তেজনায় একেবারে কানা ভরপুর এই ধারাবাহিকের!

টিআরপিতে পিছিয়ে পড়লেও দর্শকমনে উত্তেজনায় কিন্তু খামতি নেই এই ধারাবাহিককে ঘিরে। বলাই‌ বাহুল্য জি বাংলার এই ধারাবাহিকে দেখানো প্রায় প্রত্যেকটি চরিত্রই হুবহু একেবারে উঠে এসেছে সমাজ থেকে। প্রত্যেকটা চরিত্রই অসম্ভব রকমের ধান্দাবাজ, স্বার্থপর। পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষাকে আমরা সদাই শিমুলের খারাপ চাইতে দেখেছি। শিমুলের ননদ পুতুল সদাই ভালো চেয়েছে।

তবে এমন একটি চরিত্র‌ এই ধারাবাহিকে রয়েছে যে চরিত্রটি ভীষণ রকমের পাল্টিবাজ। এই আজ ভালো হচ্ছে তো কাল আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পরাগের সঙ্গে শিমুলের বিয়ের পর নব বিবাহিতা শিমুলের জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছিল তার শাশুড়ি মধুবালা দেবী। যাচ্ছেতাই রকমের কুটিল ছিল চরিত্রটিকে।‌ কিন্তু পরবর্তীতে তিনিই আবার ভীষণ ভালো হয়ে যান।‌ নিজের মেয়ে বানিয়ে নেন শিমুলকে।

বলাই বাহুল্য, পুরনো ফর্মে ফিরতেও বেশি সময় নেননি তিনি। শিমুল পরাগের থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়ায় তিনি শিমুলের বিরোধিতা করা শুরু করেন। কিন্তু যখনই তিনি জানতে পারেন যে শিমুল সেই টাকা তার মেয়ের নামে লিখে দিয়েছে ব্যাস ফের পাল্টি খেয়ে যান তিনি।

এরপর বেশ কিছুদিন ভালো মানুষের নাটক করলেও গয়না চুরি কাণ্ডে তিনি প্রথমেই সন্দেহ করেন যে শিমুল নাকি তার আলমারি থেকে সমস্ত গয়না নিয়ে শতদ্রুর ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছে। মুখে শিমুলকে ভরসা করেন বললেও তার প্রতি ন্যূনতম বিশ্বাস নেই তার।

আরও পড়ুনঃ মা চেয়েছিলেন মাস মাইনের চাকরি করি! কিন্তু আমি অভিনয় ছাড়া কিছুই পারি না! অকপট বল্লভপুরের ‘ভূপতি রায়!’

এরপর শিমুল শতদ্রুর সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও তিনিই প্রথম আটকান শিমুলকে।‌ আসলে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য তিনি শিমুলকে ব্যবহার করে চলেছেন। আর সেটা ফের প্রমাণিত হল। পরাগকে বি’ষ দেওয়া কান্ডে মধুবালা ফের অবিশ্বাস করল শিমুলকে। এবং বিশ্বাস করল শিমুলই বি’ষ দিয়েছে পরাগকে। দর্শকরা এক বাক্যে মধুবালার কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।