বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তের অন্যতম আলোচিত ধারাবাহিকের নাম ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । এই ধারাবাহিকটির চমকপ্রদ উথ্থান চমকে দিয়েছে সবাইকে। আসলে চমকানোই উচিত। যে ধারাবাহিক একটা সময় টিআরপিতে ধুঁকছিল সেই ধারাবাহিকের এমন ঘুরে দাঁড়ানো দেখলে দর্শকদের চমকানোই উচিত।
ইচ্ছেপুতুল ধারাবাহিকের গল্প এখন এতটাই চমকপ্রদ যে দর্শকরাও এই ধারাবাহিকটি থেকে চোখ সরাতে পারছেন না। আসলে প্রত্যেকটা দিনের পর্বে রয়েছে আলাদা রকমের চমক। আর যে কারণে এই ধারাবাহিকের প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষণ অনুভব করছেন দর্শকরা।
বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো মীনাক্ষী। সম্পর্কে তিনি নায়ক সৌরনীলের মা। অত্যন্ত রকমের অহংকারী, জেদী। শিক্ষা, পেশাগত জীবনে সফলতার গুমোর তার মধ্যে ভীষণ। আর তাই তিনি নিজে যখন যেটা ঠিক মনে করেন সেটাই করেন, অন্যের কথা শোনা বা মেনে নেওয়া তার ধাতে নেই।
আর মীনাক্ষীর সেই অহং বোধের কারনেই এখন তার মাশুল দিচ্ছে গিনি। মীনাক্ষী নিজের ছেলের বউ মেঘকে একেবারেই ভালোবাসতেন না। তিনি বলতেন মেঘের জন্যই নাকি তাদের সব খারাপ হচ্ছে। তিনি নাকি মানুষ চিনতে পারেন। আর তাই তার অভিজ্ঞতার চোখে মেঘ ছিল চূড়ান্ত খারাপ আর ময়ূরী সবথেকে ভালো।
আর তাই মেঘ যখন বারবার চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে সবাইকে সাবধান করে বলেছিল রূপ অত্যন্ত খারাপ একটি ছেলে তখন কেউ তার কথা শোনেনি। বরং ময়ূরীর কথাকে অনেক বেশি মান্যতা দিয়ে রূপের বিষয়ে কোনও রকম খোঁজখবর ছাড়াই রূপের সঙ্গে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আর বিয়ের পরেই রূপের নোংরা রাক্ষসু চেহারা সবার সামনে আসে। গিনিকে ওই অকুস্থল থেকে বার করে নিয়ে আসে মেঘ।
শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে গিনি। আর এই ঘটনা ঘটেছে একমাত্র মীনাক্ষীর জেদের কারণে। আর তাই তাকে তার শাশুড়ি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে তার অহংকারেই নষ্ট হয়ে গেছে গিনির জীবন। তার অনুতাপে সারবে না গিনির ক্ষত।
View this post on Instagram