এই মুহূর্তে যতগুলি ধারাবাহিক দর্শকদের মনে রাজত্ব করছে তার মধ্যে অন্যতম ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । জি বাংলার (Zee Bangla ) এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে দর্শকদের মনের পাশাপাশি টিআরপিতেও কিন্তু দারুন রকম ভাবে ঝড় তুলেছে। এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকটা পর্ব এই মুহূর্তে এতটাই উত্তেজনা বহুল যে দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি না দেখে থাকতে পারছেন না।
বলা যায় ধারাবাহিকের গল্প তো এমনই হওয়া উচিত। যেখানে থাকবে বিস্তর উত্তেজনা। আর সেই সবটাই রয়েছে ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকে। বলাই বাহুল্য, একটা সময় পর্যন্ত জি বাংলার পর্দায় চলা অন্যতম বিতর্কিত ও কম টিআরপিযুক্ত ধারাবাহিক ছিল ‘ইচ্ছে পুতুল।’ স্টার জলসার জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটিকে একটা সময় জলসার ‘ইচ্ছে নদী’র নকল বলে কটাক্ষ করতেন দর্শকরা। কিন্তু বর্তমানে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুন রকমের পারফরম্যান্স করছে এই ধারাবাহিক। জলসার তোমাদের রানীকে হারিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে স্লট লিডার হচ্ছে এই ধারাবাহিক।
এই ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী মেঘ ও ময়ূরী দুই বোন। কিন্তু নিজের আপন বোন মেঘের সর্বনাশ করতে সদাই উদ্যত দিদি ময়ূরী। মেঘের থেকে সবকিছুই ছিনিয়ে নিতে চায় ময়ূরী। এই গল্পের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই সৌরনীল নামক একটি ছেলের প্রেমে পড়ে দুই বোন। কিন্তু সৌরনীলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় ময়ূরীর। ছাদনা তলা পর্যন্ত পৌঁছেও সেই বিয়ে হয় না।
আসলে ছোট থেকেই অসুস্থ ময়ূরী। মেঘের রক্তে বেঁচে থাকতে হয় তাকে। আর সেই কারণে তার মধ্যে রয়েছে হীনমন্যতা। বলা যায় রয়েছে কিছুটা রাগও। সেই ময়ূরীকেই বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল সৌরনীল। এমনকি বিয়ের সাজে সেজে উঠেছিল ময়ূরী। কিন্তু বিয়ের মন্ডপে দাঁড়িয়ে ময়ূরীর অসুস্থতার কথা জানতে পেরে তাকে বিয়ে না করে মেঘকেই বিয়ে করে নেয় সৌরনীল। আর তবে থেকেই মেঘের ওপরে রাগ ময়ূরীর। আর ঠিক সেই দিন থেকেই মেঘকে দূরে সরিয়ে নীলকে ফের নতুন করে পাওয়ার নেশায় মেতে ওঠে ময়ূরী।
নীলের জীবন থেকে মেঘকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একের পর এক ছক কষতে থাকে ময়ূরী। আবার সৌরনীলের পরিবারের অনেকেই মেঘের সঙ্গে নীলের বিয়ে হওয়ায় একেবারেই খুশি হয়নি। বিশেষ করে মেঘের দুই ননদ এবং শাশুড়ি। আর সেই সুযোগটাই নেয় ময়ূরী। একের পর এক ষড়যন্ত্র করে মেঘকে সে নীলের জীবন থেকে অনেক দূরে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বিপদের সম্মুখীন হয়েছে ময়ূরী তার নোংরা চেহারাটা প্রকাশ পেয়েছে সবার সামনে। সৌরনীলের পরিবারের কাছে আজ মেঘ ভালো। ময়ূরী খারাপ হয়ে গেছে।
কিন্তু নীলকে যে চাইই চাই ময়ূরীর। আর তাই নতুন পরিকল্পনা শুরু করে দেয় সে। মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগ করে এবার সে মেঘের উপর। ময়ূরীকে মেঘ ভেবে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল মাতাল নীল। আর সেই মুহূর্তের ভিডিওটা মেঘকে দেখায় ময়ূরী। কথায় রং চড়ায়। সেই ভিডিওটা দেখে মনে মনে ভীষণ কষ্ট পেলেও ময়ূরীকে তার ন্যায্য জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় মেঘ। আর ময়ূরীকে গাঙ্গুলি বাড়িতে জায়গা করে দেবার জন্যই গাঙ্গুলি বাড়িতে পা রাখে
মেঘ।
আর যথারীতি মেঘকে গাঙ্গুলি বাড়িতে দেখে ভীষণ খুশি হয় পরিবারের সবাই। যে শাশুড়ি মেঘকে সহ্য করতে পারত না তিনি তো একেবারে বরণ ডালা নিয়ে হাজির হন। কিন্তু মেঘ বলে সত্যের জয় হবেই। এরপর সে ময়ূরী ও নীলের ঘনিষ্ঠতার কথা সবাইকে জানিয়ে বলে যে ময়ূরীর সঙ্গেই নীলের বিয়ে দিতে। মেঘের কথা শুনে অবাক হয়ে যায় সবাই। কি হবে এবার ইচ্ছে পুতুলে?
