Bangla Serial

দাবাং পর্ণা পেরেছে মা ন্যাওটা সৃজনকে সিধা করতে! শান্তশিষ্ট শিমুল কি পারবে ‘মাম্মাস বয়’ পরাগকে বাগে আনতে? শুরু হয়ে গেল তুলনা

সোহাগ জল (Sohag Jol) ধারাবাহিকটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হওয়া নতুন এই ধারাবাহিকটি যে জনপ্রিয়তা পাবে তা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। উল্লেখ্য এই ধারাবাহিককে ঘিরে চলেছে ব্যাপক প্রচার- প্রচারণা।

এই ধারাবাহিকে একসঙ্গে দেখা গেছে অভিনেত্রী মানালি দে, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সৃজনী মিত্র ও কুয়াশা বিশ্বাসকে। নতুন সিরিয়ালের প্রমো যেমন প্রথম দর্শনেই নজর কেড়ে নিয়েছিল বাঙালি দর্শকদের তেমন‌ই শুরু থেকেই প্রথম এপিসোডও দর্শকদের মনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই ধারাবাহিকে দেখানো হবে পাঁচ ইয়ারি কথা। আর এই পাঁচজন বন্ধু একে অপরের প্রতিবেশী। এই ধারাবাহিকের মূল নায়িকা চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী মানালি দে। তাঁর চরিত্রের নাম শিমুল। আদ্যপ্রান্ত সহজ, সরল, সাধাসিধে, শান্তশিষ্ট একটি মেয়ে। আর তার কপাল করে জুটেছে দজ্জাল একটি শাশুড়ি। আর সেই সঙ্গে শিমুলের কপালে জুটেছে একটি মা নেওটা ছেলে। মায়ের কথার বিরুদ্ধে আচরণ করা যার স্বভাবে নেই।

জি বাংলার পর্দাতে কিছুদিন আগে মা নেওটা আরও এক নায়কের দেখা মিলেছিল। যদিও এখন তিনি মায়ের আঁচল ছেড়ে অনেকটাই স্বাবলম্বী। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের সৃজন অর্থাৎ কৃষ্ণার বাবুউউউউউউ। বিয়ের পর আর পাঁচটা সাধারণ দম্পতির মতো সৃজন-পর্ণা একসঙ্গে নিজেদের মতো করে সময় কাটালে কিংবা ঘরে দরজা বন্ধ করে কথাবার্তা বললে দরজার ফাঁক দিয়ে আড়ি পেতে তা দেখত, শুনত বাবুউউর মা। ছেলে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে সবসময় তটস্থ থাকত পর্ণার শাশুড়ি।

ছেলে এবং বৌমাকে নিয়ে তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে স্বপ্ন দেখতেন তাকে ঝাঁটা হাতে বাড়ি থেকে বার করে বৃদ্ধাশ্রমে পর্যন্ত পাঠিয়ে দিচ্ছে সৃজন-পর্ণা। যদিও মুখরা পর্ণার দাপটে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বাবুর মা। এমনকি মায়ের আঁচল থেকে বেরিয়ে এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী সৃজন। আর এইরকমই এক মা নেওটা নায়ক হচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে শিমুলের বর পরাগ। পর্না তো না হয় দাপুটে ছিল। কিন্তু শিমুল তো শান্তশিষ্ট সে কি পারবে নিজের বরকে নিজের আয়ত্তে আনতে? চিন্তায় দর্শকরা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।