বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক এখন কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । এই ধারাবাহিকটি এখন বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের মনে দাপট দেখাচ্ছে। আর ভালো গল্প ও টানটান উত্তেজনার কারণে এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি টলিপাড়ায় দারুণ রকম ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বলাই বাহুল্য, বর্তমানে এই বাংলা ধারাবাহিকে মজে রয়েছেন টেলিভিশন প্রেমীরা। এই ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্বই এখন এতটা উত্তেজনা পূর্ণ হচ্ছে যে দর্শকরা এই ধারাবাহিক না দেখে থাকতে পারছেন না। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিক এই মুহূর্তে এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে টিআরপি তালিকায় কার কাছে কই মনের কথা এখন শ্রেষ্ঠ ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে।
শুরুর দিকে দর্শকরা এই ধারাবাহিককে নিয়ে কটাক্ষ করলেও এই মুহূর্তে কিন্তু প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আসলে গল্প যদি বাস্তবধর্মী হয় তাহলে সেই বাস্তবকে মেনে নিতে কিছুটা সময় তো লাগে বটেই। আর সেই সময়টাই দর্শকদের লেগেছে এই ধারাবাহিককে গ্রহণ করতে। তবে এখন কিন্তু দর্শকরা এই ধারাবাহিকের সঙ্গে নিজেদেরকে দারুন ভাবে মানিয়ে নিয়েছেন।
নিজের অসভ্য বেয়াদব স্বামীর সঙ্গে একই বাড়িতে একই ছাদের তলায় থেকে শিমুল কীভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সেটা দেখেই মুগ্ধ দর্শকরা। তারা বলছেন সব মেয়ের পরিস্থিতি তো একরকম হয় না, কিছু কিছু মেয়ের পরিস্থিতি শিমুলের মতোও হয়। আর তাদেরকে এই ভাবেই লড়াই করতে হয়।
বলাই বাহুল্য, সাম্প্রতিক গল্প অনুযায়ী আমরা দেখেছি পলাশ পরাগ প্রতীক্ষা শিমুলের প্রা’ণ নিতে উদ্যত হয়েছিল। তারা বি’ষ মিশিয়ে শিমুলকে মারতে চেয়েছিল। কিন্তু সব সত্যি জেনে গিয়েও পুলিশের কাছে মিথ্যে বলে তাদের তিনজনের জেলে যাওয়া আটকেছে শিমুল।
আর সেই জন্য কোথাও গিয়ে শিমুলের প্রতি একটু হলেও নরম হয়েছে পরাগ। কোথাও গিয়ে তার মনে একটু হলেও শিমুলের জন্য কৃতজ্ঞতা এসেছে। আর তা আন্দাজ করে পলাশ আর প্রতীক্ষা আবারও কুমন্ত্রণা দিতে থাকে পরাগের কানে। বলতে থাকে পরাগ যেন অতি শীঘ্রই শিমুলকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায়। কারণ এক্ষুনি তাকে ডিভোর্স না দিলে বাড়ি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাদের মা শিমুলের নামে বাড়ি লিখে দিতে পারে এমন আশঙ্কা করে পলাশ। সেখানেও পরাগ কিছুটা আমতা আমতা করলে পলাশ তাকে ডিভোর্সের জন্য জোর দিতে থাকে। অবশেষে নিজের মনের কথা না শুনে পলাশের কথায় রাজি হয়ে যায় পরাগ শিমুলকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য।