জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: পরাগের ভুয়ো অসুস্থতার নাটক হার মানল শিমুলের জেদের কাছে! অনুষ্ঠান করতে পৌঁছাল শিমুল

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন প্রিয় দর্শকদের কাছে সবথেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । এই ধারাবাহিকটি (Serial ) বাঙালি দর্শকদের মনের খুব কাছাকাছি রয়েছে। দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি দেখতে খুবই পছন্দ করেন। আসলে বাস্তব সম্মত এই ধারাবাহিকটির গল্প আকর্ষণ করেছে দর্শকদের।

বলাই বাহুল্য, বাঙালি দর্শকদের ভালো লাগার কারণে এই ধারাবাহিকটি টিআরপিতেও দারুণ সাফল্য পেয়েছে। গত সপ্তাহে একেবারে পঞ্চম স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকে দেখানো নারী নির্যাতনের গল্প বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে দর্শকদের। বলতেই হয় বাস্তব তুলে ধরা হচ্ছে এই ধারাবাহিকে।

এই ধারাবাহিকটির যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন, নিজের স্বামী পরাগের হাতে টানা অত্যাচারিত হতে হতে বড় সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল। কিছুদিন আগেই সে ডিএম অফিসে গিয়ে নিজের স্বামী এবং দেওরের নামে অভিযোগ জানিয়ে আসে।‌ এরপর পরাগ এবং পলাশকে অফিসে ডেকে বেশ ভালো করে সমঝে দেন ডিএম ম্যাডাম। এরপর থেকেই শিমুলের প্রতি আর‌ও বেশি করে রাগ জমা হয়েছিল পরাগের মনে। আর তাকে মন্ত্রণা দেয় পলাশ এবং তার হবু স্ত্রী প্রতীক্ষা।

এরপরেই তারা ষড়যন্ত্র করে তারা শিমুলকে ডিএম ম্যাডামের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে আটকাবে। আর সেই মতোই প্ল্যান করে পরাগের নির্দেশে এক ব্যক্তি শিমুলকে ফোনে বলে পরাগ অসুস্থ। তার নাকি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এই খবরের বিচলিত হয়ে পড়ে শিমুল। তার শাশুড়িও বলে পরাগ তার নাচ করতে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি। আর তাই এমন কান্ড ঘটেছে।

এরপর অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে শিমুল পরাগের কাছে ছুটে যায়। গিয়ে সে দেখে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে পরাগ। প্ল্যান মোতাবেক সেখানে হাজির হয় প্রতীক্ষা-পলাশ।‌ এরপর শিমুলকে দেখে তারা নিশ্চিত হয় শিমুলের অনুষ্ঠান পন্ড করতে সমর্থ হয়েছে তারা। ডাক্তার শিমুলকে জানিয়ে দেন‌ কিছুই হয়নি পলাশের। অ্যাসিডিটি হয়েছে তার। এরপর‌ই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয় পলাশকে। এরপর তড়িঘড়ি পলাশকে বাড়ি পাঠিয়ে অনুষ্ঠানের করতে পৌঁছে যায় শিমুল। তাকে দেখে তার পাড়ার বন্ধুরা ধড়ে প্রাণ পায়। আবার ডিএম ম্যাডামের মনেও শান্তি আসে। অর্থাৎ পরাগের ভুয়ো অসুস্থতার নাটক হার মানল শিমুলের জেদের কাছে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।