জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ফুলকি-তে চোখ ধাঁধানো পর্ব! সবার সামনে ঈশিতার পর্দা ফাঁস করল ফুলকি! এবার কী শাস্তি নাচছে ঈশিতার কপালে?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। ধারাবাহিকে চলছে টানটান পর্ব। এরই মধ্যে এবার সবার সামনে ঈশিতার পর্দা ফাঁস করে দিল ফুলকি। বিপদে পড়ল রুদ্র। ধারাবাহিকে দেখা যায়, ছন্দক বেকসুর খালাস হতে ঈশিতা মহা সমারোহে বাড়িতে ডেকে ছন্দককে খাওয়া-দাওয়া করাতে থাকে। যা দেখে অবাক হয়ে যায় ফুলকি। কিন্তু চুপ না থেকে সরাসরি প্রশ্ন করে সে।

ফুলকি আজকের পর্ব ২১ মে (Phulki Today Episode 21 May)

ফুলকি বলতে থাকে, ঈশিতা দিদির কাজকর্ম তার ভালো লাগছে না। ঈশিতা দিদিকে সে যেন চিনতে পারছে না। ছন্দকের বিরুদ্ধে এতকিছু করার পর এখন সেই ঈশিতা কিনা ছন্দককে বাড়িতে ডেকে খাওয়াচ্ছে! ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত না! এইসব কথা দূরে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে ফুলকি। এমন সময় ছন্দক তাঁকে ডাকে। আর বলে কি হলো ফুলকি, তোমরা খাওয়া -দাওয়া করবে না? তখন ফুলকি বলে, তোমার কাজকর্ম আমার মোটেই ভালো লাগছে না ছন্দক দাদা।

ফুলকির কথা শুনে রেগে যায় ঈশিতা। ফুলকি তখন বলে ঈশিতা দিদি আমি অনেক দেখেছি এবার তোমার পর্দা ফাঁস করব। আজকে আমিও অনেককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের এক্ষুনি ডেকে নিয়ে আসছি। এই বলে বেরিয়ে যায় ফুলকি ডেকে নিয়ে আসে ছন্দকের মা-বাবা এবং জয়িতার অভিভাবক তথা ছন্দকের শ্বশুর-শাশুড়িকে। তাঁরা এসে দাঁড়াতেই অবাক হয়ে যায় ঈশিতা। তারপর একে একে সব সত্যি সামনে আসতে থাকে।

আগত অতিথিরা বলতে থাকেন ঈশিতার কথায় তাঁরা ইচ্ছে করে ছন্দকের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। শুধু তাই নয় এরপর হাজির হতে থাকে পাড়ার ছেলেরা। তাঁরা বলে, ঈশিতা বলেছিল বলেই তাঁরা মাথা গরম করে এমন কাজ করেছে। সব সাক্ষ্য প্রমাণ যখন ঈশিতার বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে, ঠিক তখন ঘাবড়ে যায় ঈশিতা। সবাই ঈশিতাকে প্রশ্ন করতে থাকে, কার কথাতে এই ধরনের কাজ করেছে সে। ঈশিতা তখন বারবার রুদ্রর দিকে তাকাতে থাকে।

রুদ্র বোঝে এবার বিপদে পড়েছে। তাই সে শুরু করে পেট ব্যথার নাটক। লাবু ঘুরিয়ে রুদ্রর দিকে আঙুল তুলতে জেঠিমণি বলেন, লাবুর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সে নিজের স্বামীর দিকে আঙুল তুলছে? এমন সময় রুদ্র বলতে থাকে এত ঝামেলা মাথায় নিয়ে সে মোটেই থাকবে না। বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। রুদ্র নাটক দেখে লাবু বলে, রুদ্রর কিছুই হয়নি, বিপদে পড়েছে বলে নাটক করছে সে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।