Bangla Serial

ভেঙে গেল ‘সিধাই’ জুটি! টক্কর দিতে আদৃতের সঙ্গেই জুটি বাঁধছেন জনপ্রিয় টলিউড অভিনেত্রী! টিকতে পারবে তো সৌমীতৃষা?

বাংলাদেশের একটা ছবিতে কাজ করার কথা ছিল এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর। জুটি বাঁধতে চলেছিলেন বাংলাদেশের অভিনেতা আদর আজাদের সঙ্গে। সব ঠিকঠাক হওয়া সত্ত্বেও বাদ পড়েন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর দাবি, তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও একদিক থেকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে ছবির চিত্রনাট্যকার কারণ ব্যখ্যা করে জানিয়েছেন, ভিসা সমস্যার কারণেই বাদ দেওয়া হয়েছে এই অভিনেত্রীকে।

কে সেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী?

ঘটনাকে ঘিরে বেশকিছুদিন ধরে চলে চর্চা। যদিও বর্তমানে তা ধামাচাপা পরে গিয়েছে। উক্ত অভিনেত্রী একজন জনপ্রিয় ভারতীয় মডেলও, যিনি বেশকয়েকটি বাংলা ও তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। বিভিন্ন সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, মিউজিক ভিডিও, শর্ট ফ্লিমে কাজ করেছেন তিনি। তিনি হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।

আদৃতের সঙ্গে কোন ধারাবাহিকে জুটি বাঁধতে চলেছেন?

এবার শোনা যাচ্ছে, তিনি আসতে চলেছেন ধারাবাহিকে। বহু দর্শক এই মিষ্টি ছোট্ট মেয়েকে দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে এর থেকেও বড় খবর, তিনি যাঁর বিপরীতে আসবেন, তিনি হলেন দর্শকদের খুব প্রিয় মিঠাই’এর নায়ক আদৃত। ৯ই জুন ছিল অন্তিম পর্ব ‘মিঠাই’এর। এই শেষটা মেনে নিতে না পারলেও নতুনকে স্বাগত জানিয়ে হাসিমুখে বিদায় জানালেন গোটা মিঠাই পরিবার।

অতীতের কিছু টুকরো স্মৃতিকে মনে রেখেই তারকারা বিদায় জানিয়েছেন জিনপ্রিয় এই ধারাবাহিককে। দর্শকদের কথায়, ‘মিঠাই সবসময় আমাদের ফ্যানদের মণিকোঠায় থেকে যাবে, থেকে যাবে “সিধাই” এর মতো কালজয়ী জুটি।” এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্র সকলের খুব কাছের হয়ে উঠেছিলেন। ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে প্রথমদিন থেকে গ্রামের মিষ্টি মেয়ে মিঠাই বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

দর্শক কি বলছেন?

নায়িকা মিঠাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুণ্ড। ও নায়ক সিদ্ধার্থ মোদকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা আদৃত রায়। এবার সেই জুটিকে টেক্কা দিতে আসছে নতুন জুটি দর্শনা ও আদৃত। যদিও এই বিষয়ে এখনও অফিসিয়ালি কিছু জানা যায়নি। তবে এক দর্শকের ইচ্ছা আদৃতের সঙ্গে তাঁকে দেখতে। তাঁর বক্তব্য, লকডাউনের একটি নাটকে তাদের একসঙ্গে দেখে বেশ ভালো লেগেছিল এই জুটিকে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।