জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kacche koi moner kotha)। বিয়ের পরে একটি মেয়েকে ঠিক কি কি ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘ধুলকনা’ (Dhulokona) খ্যাত মানালি মনীষা দে (Manali manisha dey), বাসবদত্তা চ্যাটার্জি (Basabdutta chatterjee), সৃজনী মিত্র (srijani mitra), কুয়াশা বিশ্বাস (kuyasha biswas) ও স্নেহা চ্যাটার্জি(sneha chatterjee)। বিয়ের পরেও যে স্বামীকে সমস্ত মনের কথা বলা যায় না, এতা বোঝানোই ছিল এই ধারাবাহিকের মূল বক্তব্য।
‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে বর্তমানে চলছে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ পর্ব। শিমুলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ের কথা চলছে পরাগের। এমন সময় তাদের আশীর্বাদের দিন শাড়িতে আগুন লেগে যায় প্রিয়াঙ্কার। প্রিয়াঙ্কার পরিবার, পরাগ কেউই তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় না। বরং তাকে বাঁচায় শিমুল।
আরো পড়ুন: জলসার হিট নায়ক এবার জি বাংলায়! মিলি বন্ধের মুখে যেতেই নতুন ধারাবাহিক নিয়ে কামব্যাক করছেন এই জনপ্রিয় নায়ক
উল্টোদিকে, শতদ্রুও তার মা ও বোনের কথায় রাজী হয়ে বিয়ের জন্য সন্মন্ধ দেখতে চলে যায় এবং সেখানে শতদ্রুর মা মেয়ের পরিবারকে জানায় যে, তার ছেলে এখনকার ছেলেদের থেকে অনেক আলাদা। সে কোনও মেয়ের দিকে চোখ তুলেও তাকায়নি কোনওদিন। আশ্চর্য ভাবে শতদ্রুও তার মায়ের কথায় মৌন থাকে।
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, পুতুলকে স্কুলে ভর্তি করতে যায় শিমুল এবং সেখানেই তার দেখা হয় তীর্থাঙ্করের সঙ্গে। তীর্থাঙ্কর পুতুলকে বাড়িতে পড়াতে আসে। এবং সেখানেই তার দেখা হয় প্রতীক্ষার সঙ্গে। প্রতীক্ষা তীর্থাঙ্করকে দেখে অবাক হয়ে যায় এবং তার আচরণ বদলাতে থাকে। তাদের কথাবার্তা হলে পলাশের সামনে যথেষ্ট অপ্রস্তুতে পরে প্রতীক্ষা। সে পুতুলের ‘স্যার’কে চেনে কি না তা জিজ্ঞাসা করা হলেও সে কোনও উত্তর দেয় না।
View this post on Instagram
অন্যদিকে তীর্থাঙ্কর প্রতীক্ষার উদ্দেশ্যে বলে ‘তুমি যদি না চাও আমি তোমাদের বাড়িতে চাকরি করতে আসবো না। এমতাবস্থায়, প্রতীক্ষা তড়িঘড়ি করে পলাশকে নিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়ে যায়। এবং সেই বিষয়টা যথেষ্ট চোখে পরে শিমুল ও মধুবালা দেবীর। তাই এখন অপেক্ষা এতাই দেখার, যে পলাশ এতদিন শিমুল ও শতদ্রুকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করত, সে নিজের স্ত্রীয়ের প্রাক্তন প্রেমিকের কথা জানলে কি করবে।