টাকার লোভ মানুষকে কত নিচে নামে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) ভিক্টর। জীবন বিমার ৫০ লক্ষ টাকা হাতাতে নিজের বিবাহিত স্ত্রীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পিছপা হয় না সে। লোভে তার মানবিকতা লোপ পেয়েছে। ঠিক ভুল নির্ণয় করার ক্ষমতা অবশিষ্ট নেই।
তবে এই মুহূর্তে বধূ নির্যাতনের অপরাধে হাজতে ভিক্টর। পৃথা নিজে তার স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য ছোট ছেলেকে জেলে ঢুকিয়েছে। ধারাবাহিকের গল্পে এদিন অর্জুনের বাড়ি থেকে তিস্তাকে ফিরিয়ে আনে ভিক্টর। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়িতে আসতে বাধ্য হয় সে। আর তারপর ফের তিস্তার উপর অত্যাচার শুরু করে ভিক্টর। বাড়িয়ে চলে মানসিক চাপ, এমনকি জীবন বিমার টাকা পেতে ছুড়ি বার করে সে।
কিন্তু তিস্তার শরীরে আঁচ লাগার আগেই এসে উপস্থিত হয় অর্জুন আর দীপা। ভিক্টরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সে। ভিক্টরকে উচিত শিক্ষা দিতে বেল্টের বাড়ি মারতে থাকে অর্জুন। আর তখনই নিজের মোক্ষম চালটা চালে পৃথা। আচমকা অর্জুনকে বলে ওঠে, ‘অর্জুন নিজের হাতে ভাইকে মেরে ফেলো না।’ পৃথার এহেন কথায় চমকে ওঠে সেখানে উপস্থিত সকলে।
প্রথমে পৃথার কথা বিশ্বাস করতে চায় না অর্জুন। তবে খোকার কথা বলতেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় তার। তিন ছেলেকে একা ফেলে নির্মম পৃথা চলে গিয়েছিল নিজের স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে। ভিক্টরকে পুলিশ নিয়ে চলে গেলে বাড়ি ফিরে আসে দীপা-অর্জুন আর তিস্তা। বাড়ি ফিরেও পৃথার কথা কানে বাজতে থাকে অর্জুনের।
Table of Contents
আরো পড়ুন: লক্ষ্য IAS, ট্রাফিকের ভিড়েই মোবাইলে চলছে প্রস্তুতি! Zomato ডেলিভারি বয়ের ছবিতে মুগ্ধ নেটপাড়া
বাড়িত ফিরে এসে সোনা-রূপার কথার উত্তর দেয় না সে। সাধারণত অর্জুনকে এমন ব্যবহার করতে দেখেনি সোনা-রূপা। অপরদিকে, জেলে ভিক্টরের সঙ্গে দেখা করতে আসে পৃথা। ভিক্টর তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেই পৃথা বলে, এইটাই মোক্ষম সময় অর্জুনের কাছাকাছি আসার। আপাতত কদিন ভিক্টরকে জেলে কাটাতে হবে। অর্জুনকে বাগে পেয়ে তবেই সে ছক্কা হাঁকাবে। মায়ের মুখে এমন কথা শুনে ভিক্টর অবাক হয়ে যায়। বুঝতে পারে পৃথা টাকা ছাড়া আর কিচ্ছু বোঝে না। তবে এর ফলে আরও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠে ভিক্টর। জেল থেকে বেরিয়ে সে তার মাকেও ছাড়বে কিনা, বলবে সময়।