Bangla Serial
‘বাবা বলেন পড়াশোনা শিখেছ কেন? সাবলম্বী হওয়ার পথটা ছিল অনেক কঠিন’! যুদ্ধ নিয়ে অকপট জগদ্ধাত্রীর ‘দিব্যা সেন’

একটা সময় বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির বহুল পরিচিতি ছিলেন প্রিয়া পাল। শুধু ধারাবাহিকই নয়, ‘বিগ বস’ বাংলা সিজন ২-এ রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তারপর আচমকাই গায়েব হয়ে যান অভিনেত্রী। তারপর যদিও ফের তিনি টলিউডে ফিরে এসেছেন। টেলিভিশনে দীর্ঘদিন অভিনয় করা কিন্তু মোটেই সহজ কথা না। একসঙ্গে দীর্ঘ ১২-১৩ বছর ধরে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে গিয়েছেন জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকের ভিলেন দিব্যা সেন ওরফে প্রিয়া পাল।
টলিউড ছেড়েছিলেন কেন?
নৈহাটির মেয়ে প্রিয়া, অভিনয়ের মাধ্যমেই নিজেকে এভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন একথা বিশ্বাস করেননি কেউই। জল নূপূর ধারাবাহিকে মিমি-র চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন প্রিয়া। তাঁর স্টাইল বরাবই মুগ্ধ করত দর্শকদের। তবে মুম্বইয়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে টলিউড ছেড়েছিলেন প্রিয়া। এরপর ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বহু দেশ।
অভিনেত্রীর এই জার্নিটা ছিল সাংঘাতিক
অভিনেত্রী প্রিয়ার এই জার্নিটা ছিল সাংঘাতিক। বাবা না সাথে থাকলেও, সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর মা। জি বাংলার একটি শোয়ে এসে তিনি বলেন, “একটা সময় গোটা নৈহাটির মানুষ যেন বিশ্বাস করতে পারেনি আমি এটা করতে পারি। এমনকি আমার বাবাও। আমি এখান থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে নাম করব, এটা যেন ভাবনাতীত ছিল। কিন্তু, জেদ চেপে গিয়েছিল আমারও।”
বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং
প্রিয়া জানান, প্রথম থেকেই তাঁর প্ল্যান ছিল যে করে দেখিয়ে দেবেন। নিজের দক্ষতায় সকলকে ভুল প্রমাণ করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। একটা সময় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে টানা কাজ করেছিলেন তিনি। একদিনও ছুটি পর্যন্ত নেননি। ৮-৯ বছর শুধুই টানা কাজ করে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাত্ করেই বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং করেন। লন্ডন ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা যখন করছেন, মনে ছিল বিরাট ভয়। তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, ‘পড়াশোনা শিখেছ কী করতে যদি একা ঘুরতেই না যেতে পারো?’
জগদ্ধাত্রীর দিব্যা সেন
জল নুপূর ছাড়াও ‘চোখের বালি’ ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। বর্তমানে জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালে তাঁকে দিব্যা সেনের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। নেগেটিভ চরিত্রে তিনি সেখানে অভিনয় করছেন। একদিন যে তিনি অভিনয়ের জেরে এতো জনপ্রিয় হবেন, রোজগার করবেন- তা যেন ভাবতে পারেননি পরিবারের কেউই। প্রিয়ার মায়ের কথায়, ‘এই জায়গায় আসতে ও অনেক কষ্ট করেছে। অনেকটা লড়াই করেছে’।
