রাঙাবউ মানে সিরিয়াল প্রেমীদের মনে ভেসে ওঠে অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের মুখ। এর আগেও পাখি চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জিতে নিয়েছিলেন শ্রুতি। সম্প্রতি তিনি সপরিবারে এলেন দাদাগিরির মঞ্চে। মানে নিম ফুলের মধু, জগদ্ধাত্রীর পর, এবার সৌরভের রিয়েলিটি শো-তে টিম রাঙা বউ।
আর এই শোতে এসে আবেগে ভাসলেন শ্রুতি। দাদাগিরির টিজারে দেখানো হয় কাটোয়ার এক ছোট্ট ঘর থেকে কিভাবে টলিউডে এলেন শ্রুতি। তাঁর বাবাকে বলতে শোনা যায়, ‘কোনওদিনও ভাবতে পারিনি এই মঞ্চে আসব’। এরপরই কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। কান্নাভেজা গলায় দাদাকে জানান , ‘বাবার দাদাগিরির জন্য আমিই দিদি নম্বর ১।’
উল্লেখ্য, এদিন বৌ সাজেই দাদাগিরির মঞ্চে আসেন শ্রুতি। পরনে ছিল হলুদ শাড়ি আর লাল পাড়। খোঁপায় ফুল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর নায়ক গৌরব। শ্রুতির সঙ্গে রং মিলান্তি করে তিনিও পরে এসেছিলেন লাল পঞ্জাবি। রীল লাইফের কাপল যে বেশ মানিয়ে ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও পাখি ওরফে শ্রুতির রিয়েল লাইফের নায়ক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। চলতি বছরেই চার হাত এক হয়েছে তাঁদের। বছর তিনেক চুটিয়ে প্রেম। তারপরই মালা বদল। তাঁর রিয়েল লাইফের এই হিরোর সঙ্গে শ্রুতির আলাপ হয় ত্রিনয়নী-র সেটে। তারপর প্রেম। রেজিস্ট্রির সঙ্গে সিঁদুরদানও সেরে ফেলেছেন তারা। এর মাঝেই ছোট্ট করে একটা মিনি হানিমুনও সেরে ফেলেছেন অভিনেত্রী। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ এ ধুমধাম করে সামাজিক বিয়েও করবেন তিনি।
দেশের মাটির পর বহুদিন পর্দায় দেখা মেলেনি শ্রুতির। এই নিয়েই দুর্গাপুজোর আগে সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী লেখেন, ”আগের বছর পুজোতে দুগ্গা মায়ের কাছে খুব কেঁদেছি এক বছর কাজ করতে পারিনি বলে, ফ্লোরে জন্মদিন কাটাতে পারিনি, তিলোত্তমায় আমার কাজের কোনও হোর্ডিং ছিল না বলে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি চেষ্টা করেছিস আর আমি যা চেয়েছি মা সবটা আমায় দিয়েছে। পরিশ্রম করলে ফল পাওয়া যায়।’
View this post on Instagram