২০শে নভেম্বর। বছর ঘুরে ফের একবার এসেছে সেই দিন। সঙ্গে একরাশ মন খারাপ আর পুরোনো স্মৃতি। গতবছর এই দিনেই অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। শূন্য করেছিলেন মায়ের মন। চলছিল ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘকালীন লড়াই। কিন্তু শেষ লড়াইটা আর জিতে উঠতে পারেনি ঐন্দ্রিলা। তাঁর চলে যাওয়ার কষ্ট এখনও থিতিয়ে যায়নি তাঁর মায়ের মন থেকে।
অভিনেত্রীর মা শিখা দেবী বিশ্বাস করেন ঐন্দ্রিলার আছে। তাঁর কথায়, ‘ঐন্দ্রিলা আজ একবছর শারীরিকভাবে আমার কাছে নেই। তবে ও আছে আমার কাছেই, আমি অনুভব করি।’ তাঁর আদরের ছোটমেয়ে ‘মিষ্টি’ (ঐন্দ্রিলার ডাকনাম) আর নেই। ঘর জুড়ে রয়েছে শুধুই তাঁর স্মৃতি। মেয়েকে হারিয়ে ভাল নেই শিখা দেবী। এখন মেয়ে থাকলে ২৫ বছর বয়স হত। তাই আজ ২৫টি বৃক্ষরোপন করেছেন মেয়ের নামেই।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও শিখা দেবীর নার্সিং স্কুলে বৃক্ষরোপণ হয়েছে। তাঁর ইচ্ছে কিছু দুঃস্থ মানুষজনদের খাওয়ানোর ও শীতবস্ত্র দান করার। পথ কুকুরদেরও খাওয়াবেন, সারাটাদিন মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই কাটাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর ১ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেদিনই মেয়ের সঙ্গে শেষবার কথা হয় মায়ের। সেদিন সকালে প্রাতরাশ সেরে নিজের দুই পোষ্য বোজো ও তুতুনকে খাইয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। মায়ের সঙ্গে অনেক গল্পও করেন। সেদিনই শ্যুটিংয়ের জন্য গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু গেলেন হাসপাতালে।
ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা জানিয়েছেন, ‘ আগের বছর নভেম্বরে এই সময় আমরা যে সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, প্রতিটা মুহূর্ত আমার চোখের সামনে ভাসে। অসুস্থ হোক, তবে প্রাণটা তো ছিল। আমরা আশায় ছিলাম, ও ফিরে আসবে। ও যেমন লড়াকু ছিল, তাতে মন বলত, ও ঠিক ফিরে আসবে।’ এ বছরই অভিনেতা সব্যসাচীর সঙ্গে চার হাত এক হওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু ঐন্দ্রিলাই বলেছিলেন, ‘না মা আমার চুলটা দু’মাসে আরও একটু বড় হয়ে যাবে, সুন্দর হয়ে তারপর সাজব। তখনই বিয়ে হবে। সুন্দর হয়ে তারপর সাজব।’