জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘যাবতীয় উত্তর আইন দেবে’, একের পর এক প্রাক্তন প্রেমিকাদের বিরুপ মন্তব্যে এবার আইনি পথে হাঁটলেন রণজয়

সোহিনী সরকার এবং শোভন গঙ্গোপাধ্যায় তাদের নতুন জীবন শুরু করেছেন। প্রাক্তন প্রেমিক রণজয়কে (Ronojoy Bishnu) নিয়ে সোহিনীর বক্তব্যে তোলপাড় টলিপাড়া । প্রায় দুই বছর আগে সোহিনী এবং রণজয়ের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ে। তারপরে সোহিনীর জীবনে শোভনের আগমন ঘটে। এক বছর না পেরোতেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এক সময় সোহিনী (Sohini) রণজয়ের প্রেমিকা ছিলেন। কিন্তু কোন ঘটনায় তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সোহিনী এবং শোভনের সম্পর্ক নিয়ে রণজয় বলেছিলেন, “সোহিনী যেখানেই থাকুক, যার সঙ্গেই থাকুক, ও যেন সব সময় সুখী থাকে।”

সোহিনীর বিয়ের পর সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার ফেসবুক পোস্টে টলিপাড়ায় আলোড়ন পড়ে যায়। যেখানে তিনি প্রাক্তন প্রেমিক থেকে সাবধান থাকার বার্তা দেন। অনেকের অজানা, দশ বছর আগে রণজয়ের (Ronojoy Bishnu) সঙ্গে সায়ন্তনীর সম্পর্ক ছিল। সেই পোস্টে সোহিনীর লাভ রিঅ্যাক্ট দেন। রণজয় এরপর সায়ন্তনীকে সংবাদমাধ্যমে আক্রমণ করেন। তখনই সোহিনী প্রাক্তন প্রেমিক সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

WhatsApp Image 2024 07 27 at 11.33.25 AM

সাক্ষাৎকারে সোহিনী সরাসরি রণজয়কে (Ronojoy Bishnu) আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “কেউ উপরে উঠলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যাটা হল যখন রণজয় বিষ্ণুর মতো মানুষ ভাল চাই দেখানোর নামে সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছে। কেউ কারও ভাল চাইলে সেটা ব্যক্তিগতভাবে জানাবে।” সায়ন্তনীর ফেসবুক পোস্টে যা লেখা ছিল, সেগুলো সোহিনী অস্বীকার করতে পারবেন না কারণ তিনিও একই ঘটনার শিকার। প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল নামের আরও এক প্রাক্তনের কথাও উল্লেখ করেন সোহিনী। প্রিয়াঙ্কাও সায়ন্তনীকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

সোহিনী প্রশ্ন রাখেন, “ধরা যাক আপনার প্রেমিক কিছু করেন না, দুই বছর ধরে তিনি বসে আছেন। আপনি তখন তাঁর পাশে আছেন এই ভেবে যে নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে। কিন্তু ছেলেটি চাকরি পেলেই কেন ব্রেক-আপ হল?” সোহিনী জানান, “২০২০ সালে রণজয়ের হাতে কাজ ছিল না। ২০২১ সালেও কাজ ছিল না। ২০২২ সালে ‘গুড্ডি’ নামের সিরিয়াল হাতে আসে রণজয়ের। হয়তো শিগগিরি বিয়েও করতাম আমরা, রণজয় (Ronojoy Bishnu) কাজ পেয়েছে, আমার হাতে কাজ রয়েছে, কোনও অসুবিধেই আর নেই… তবু ব্রেক-আপটা হল। সম্পর্ক ভাঙতে কেউই চায় না, পরিস্থিতি বাধ্য করে।”

এত কিছুর মাঝে মুখ খুললেন রণজয় (Ronojoy Bishnu)। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে একটি পোস্ট লেখেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “বিগত দিনের বেশ কিছু খবরে আমি এবং আমার পরিবার ব্যথিত ও মর্মাহত।আমরা পরিবার হিসেবে প্রস্তুত ছিলাম না এরকম অনভিপ্রেত কিছু ঘটনার জন্য। যে ঘটনাগুলোতে আমার ও আমার পরিবারের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত।আমার কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্ত। যে সমস্ত মানুষজন আমাকে নিয়ে বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা ও বক্তব্য পাব্লিক ফোরাম এবং মিডিয়া পোর্টালের কাছে অবতারনা করে বর্তমান সময়ে গুরুত্ব পাওয়ার করুণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি পূর্ন সমবেদনা রইল। তবু শুধুমাত্র প্রচারের লোভে আমার ব্যক্তিগত জীবনকে এইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং আমার পরিবারকে পাব্লিক ফোরামে ছোটো করার জন্য আমায় এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হত।”

তিনি ( Ronojoy Bishnu) আরও বলেন, “কারন আত্মলোভী, অসৎ কিছু মানুষ হঠাৎ অতীতের কবর খুঁড়ে কিছু মিথ্যে ঘটনার অবতারনা করে শুধু আমাকে ছোটো করছে না, অপমানিত করছে আমার পরিবারকে। আমি জানি স্যোশাল মিডিয়া বা নিউজ আর্টিকেলে তার প্রত্যুত্তর সম্ভব নয়, কারন আমার বিরুদ্ধে বলা মিথ্যে কথাগুলো ক্রিমিনাল অফেন্স, এবং কথাগুলো যদি সত্যি হয় আমি ক্রাইমের সাথে যুক্ত। তাই এই সমস্ত মিথ্যে কথার উত্তর আমি আইনী পথেই দেবো। শুধুমাত্র প্রচারের লোভে যারা এই অন্যায় ক্রমাগত করে চলেছেন তাদের যাবতীয় উত্তর আইন দেবে। আমি এবং আমার পরিবারের মর্যাদা যারা শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থ আর ক্ষুদ্র প্রচারের লোভে ক্ষুন্ন করলেন তাদের মানসিক সুস্থতা কামনা করি।”

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।