Bangla Serial

এবার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে শিমুলের পুতুল দি! হাবলি ননদের জন্য পাত্র জুটিয়ে ফেলল শিমুল

জি বাংলার (Zee Bangla)জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’। সম্প্রতি ধারাবাহিকের মোড় ঘুরিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ডিভোর্স হয়েছে শিমুল ও পরাগ-এর। আর ডিভোর্সের পরই নতুন প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চলেছে পরাগ। পরাগের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও শিমুল তার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে যায় না। কারণ তাঁর আর কোনোও থাকার জায়গা নেই। তাই পুতুল দি আর শাশুড়ি মায়ের অনুরোধে পরাগের বাড়িতেই রয়ে যায় শিমুল।

প্রথম থেকেই পুতুল দি শিমুলের খুব কাছের। সব সময় শিমুলকে নিজের বোনের মতো আগলে রেখেছে পুতুল দি। বাড়ির সবাই বরাবরই অপমান করেছে পুতুল দিকে। তাঁর বিয়ে হবে না বলে খোঁটাও দিয়েছে তাঁরা। কিন্তু শিমুল একসময় পুতুল দি কে কথা দিয়েছিল, তাঁর জন্য একটা ফুটফুটে বর খুঁজে দেবে শিমুল। যে পুতুল দিকে ভালোবাসবে ও তাঁকে আগলে রাখবে। আর এবার সেই দায়িত্বই পালন করলো শিমুল।

আরো পড়ুন:”এটা মোটেও পরকীয়া নয়, পরাগ কিছু ভুল করেনি…!” ডিভোর্সের পর পরাগের হয়েই মুখ খুললো শিমুল! অবাক দর্শকরা

 

ধারাবাহিকের আগের পর্বে দেখা যায়, একটি স্কুলে পুতুল দিকে নিয়ে যায় শিমুল। সেদিন সেখানে ক্লাস নিচ্ছিলেন এক মাস্টারমশাই। পুতুল দির সঙ্গে তাঁর আলাপ পরিচয় হয়, পুতুল দির গান শুনে মুগ্ধ হন মাস্টারমশাই। তিনি পুতুল দিকে প্রশ্ন করেন “আপনি আমার ক্লাসে অংশগ্রহণ করবেন?” এর উত্তরে পুতুল দি বলে, “আমি মোটেই আপনার কাছে কিছু শিখবো না। আমি যা শিখবো তার সবটাই শিমুলের কাছে।”

পুতুল দির এহেন উত্তরে শিমুল বিব্রত হয়। আর সে বলে, এভাবে কথা বলে ঠিক করেনি পুতুল দি। তারপর সে মাস্টারমশাইকে বলে, পুতুল দি শান্ত থাকলে খুব ভালো। কিন্তু রেগে গেলেই আর কোনো কথা সে শুনতে চায় না। আমি চেষ্টা করবো আপনার ক্লাসে ওঁকে নিয়ে আসার। কিন্তু আপনি যদি কিছু মনে না করেন তবে একটা অনুরোধ করতে পারি? মাস্টারমশাই জানতে চায় ঠিক কি বলতে চাইছে শিমুল।

 

এরপর শিমুল বলে, যেদিন যেদিন পুতুল দি ক্লাসে আসতে চাইবে না, আপনি কি আমাদের বাড়িতে গিয়ে ওঁর ক্লাস নিতে পারবেন? উত্তরে মাস্টারমশাই সম্মতি জানায় যে, সে অবশ্যই আসবে আর ক্লাস নেবে পুতুল দির। এই পর্বের পরই দর্শকরা ধারণা করতে পারছেন এই মাস্টার মশাইয়ের সঙ্গেই পরে বিয়ে হবে শিমুলের পুতুল দির। আর সেই বিয়েতে নিজে উদ্যোগ নিয়ে আয়োজন করবে শিমুল স্বয়ং।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।