এই মুহূর্তে দর্শকদের মনের পাশাপাশি টিআরপিতে ঝড় তুলেছে যে বাংলা ধারাবাহিকটি তার নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । দর্শকরা এখন এই ধারাবাহিকের মোহে আচ্ছন্ন। আসলে ভালো গল্প হলে দর্শক তো মজবেই। আর সেই সঙ্গে গল্প যদি বাস্তবধর্মী হয় তাহলে তো কথাই নেই।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকটিতে রয়েছেন বিভিন্ন সব নামজাদা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। অভিনয়গুণে তারা অসামান্য। এক একজন অন্যজনকে দারুন রকম ভাবে টক্কর দিতে সক্ষম। অভিনয়গুণে এবং বাস্তবধর্মী গল্পের মিশেলে আজ এই ধারাবাহিকটি এতটা সাফল্য পেয়েছে।
উল্লেখ্য, টিআরপিতে দারুন রকম ফল করছে এই ধারাবাহিকটি। বর্তমান সময়ের টিআরপি অনুযায়ী চতুর্থ স্থানে রাজত্ব করছে এই ধারাবাহিকটি। সমাজের ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে এই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে। আর তা হল বধূ নি’র্যা’ত’ন। এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে নায়িকা শিমুলের এমন একটি পরিবারে বিয়ে হয়েছে যে পরিবারে নারীদেরকে পণ্য ছাড়া আর কিছুই মনে করা হয় না। নারী শুধুমাত্র এই ভো’গ্য পণ্যের জিনিস।
নারীদের গায়ে হা’ত তোলা যায়। বৈবাহিক ধ’র্ষ’ণ করা যায়।
আর নারী মাথা চাড় দিয়ে উঠলেই তার গায়ে হাত তুলে তার উপর অত্যাচার করে তাকে অবদমিত করতে হয়। তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের দুই প্রতিনিধি হয়েও পরাগ এবং পলাশের চিন্তাধারা ভীষণ গোঁড়া। তাদের বাবা তাদের মায়ের উপরে অত্যাচার করে গেছে আর এখন পরাগ তার নিজের স্ত্রীয়ের উপরে অত্যাচার করছে।
স্বামী পরাগের হাতে অত্যাচারিত হলেও নিজে আনন্দে থাকার এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখে চলেছে শিমুল। শুধু একা নয় নিজের শাশুড়ি মাকেও এই আনন্দযজ্ঞে শামিল করেছে সে। কিন্তু নারী তো সব সময় পুরুষের অঙ্গুলি হেলনে চলবে। সে কেন আনন্দ করবে? আর তাই শিমুলের স্বামী পরাগ এবং তার দেওর পলাশের সেই সুখ সহ্য হচ্ছে না।
আর তাই পরাগ, পলাশ এবং পলাশের হবু স্ত্রী প্রতীক্ষা মিলে শিমুলকে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পৃথিবী থেকে যদি নাও সরাতে পারে তাহলে শিমুলের একটা বড় বিপদ তো তারা করবেই এমনটাই মনস্থির করে। এমনকি তাতে যদি শিমুলের প্রাণও চলে যায় তাহলেও তাদের কিছু এসে যাবে না সেটাও সে বোঝায় তার দাদাকে। আর ভাইয়ের বুদ্ধিতেই পরিচালিত হয় পলাশ।
পরিকল্পনামাফিক দশমীর দিন শিমুলের সিদ্ধিতে বি’ষ মেশায় পরাগ-পলাশ। আর শিমুলরা ঠাকুর ভাসান দিয়ে চলে এলে সবার হাতে সিদ্ধির গ্লাস হাতে তুলে দিতে থাকে পরাগ। বিশেষ করে বিষ মিশানো থাকায় সে শিমুলের হাতে তুলে দিতে যায়। কিন্তু পরাগের হাত থেকে গ্লাস নেয় না শিমুল। তখন পরাগের কথায় সেই সিদ্ধির গ্লাস বিশেষভাবে শিমুলের হাতে তুলে দেয় কুটনি প্রতীক্ষা।
আর সেই শরবৎ খেয়ে জ্ঞান হারায় শিমুল! যথারীতি অনেকক্ষণ জ্ঞান না ফেরায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে গিয়েই শিমুলের চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর মধুবালা বিপাশাকে বলে শিমুলের বাপের বাড়িতে ফোন করার জন্য। কিন্তু বারবার বাধা দিতে থাকে পরাগ। আর এর ফলে সন্দেহের তীর ধরে তার দিকে। উপযুক্ত শাস্তি কবে পাবে তারা?