এই মুহূর্তে জমে উঠেছে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় চলা ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । বাঙালি টেলিভিশনমুখী দর্শকের মন মেতেছে এই ধারাবাহিকে। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্ব এখন দারুণ রকম দুরন্ত এবং জমজমাট হচ্ছে।
এখানে নারী পরাধীনতার গল্প ফুটে উঠছে। সমাজে বিবাহিত নারীদের ওপর অত্যাচারের গল্প বর্ণিত হচ্ছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলছে শোষণ। প্রতিবাদ না করে নীরবে সহ্য করে নিয়েছেন নারীরা। আর সেই মুখ চুপ করে অত্যাচার সহ্য করে নেওয়া মানুষদের মধ্যেই পড়তেন শিমুলের শাশুড়ি।
পরাগ-শিমুলের বিয়ে হওয়ার পর থেকেই শিমুলের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন তার শাশুড়ি মধুবালা। বাংলা টেলিভিশনে দেখানো অন্যতম নিকৃষ্ট মানের শাশুড়ি ছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে গল্প বদলায়। জানা যায়, তিনি নিজেও নিজের শ্বশুর বাড়িতে এসে অত্যাচারিত হয়েছিলেন বলেই সেই রাগ থেকেই শিমুলের সঙ্গে এমন ব্যবহার করেন। শিমুল বুঝতে পারে তার শাশুড়ি নিজেকে একটা অন্যরকম মানুষ বানিয়ে রেখেছে। যার মনটা সম্পূর্ণ আলাদা।
বড় মেয়ে পুতুল প্রতিবন্ধী। আর তাই তাকে মুখাপেক্ষী হতে হয় তার দুই ছেলে পরাগ এবং পলাশের। কারণ তারা চটলেই তার সমস্যা। আর তাই তাদের সমস্ত ভুল সহ্য করে নিয়ে এতদিন পর্যন্ত মুখ চুপ করে বসেছিলেন মধুবালা দেবী। এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, নিজের রাগ থেকে লাঠি এনে শিমুলকে মারতে যায় পরাগ। আর ঠিক তখনই শিমুলের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর শাশুড়ি মধুবালা। পরাগের আনা লাঠি দিয়েই তিনি নিজের ছেলেকে বেধড়ক পেটান।
এই প্রথমবারের মতো তিনি নিজের ছেলেদের বিরুদ্ধে এতটা প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন। পরাগ পলাশকে সাধ্যি-সাধনা না করে তিনি নিজে দুই মেয়ে শিমুল এবং পুতুলকে নিয়ে খেতে বসলেন। এমনকি শিমুলকে ভবিষ্যতে তার সমস্ত অনুষ্ঠান করার জন্য অনুমতি দিয়ে দিলেন তিনি। এমনকি শিমুলও বলল যে তার শাশুড়ি মা না গেলে সে ভবিষ্যতে আর কোন অনুষ্ঠান করবে না। শাশুড়ি বৌমার সম্পর্কে এই পরিবর্তন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।