এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনায় ভরা পর্ব চলছে ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Katha) । এই ধারাবাহিকটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক মনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। দর্শকদের কাছে এই ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা এখন অবাধ।
এই মুহূর্তে বিভিন্ন বাস্তবসম্মত প্লট উঠে আসছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। শ্বশুরবাড়ির কূটকাচালি থেকে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সবটাই দেখানো হচ্ছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। দর্শকরা এখন মনোযোগী হয়ে এই ধারাবাহিকটি দেখছেন। শুরুর দিকে এই ধারাবাহিকের গল্পকে কেন্দ্র করে নাক সিঁটকালেও এখন কিন্তু এই ধারাবাহিকে মন মজেছে বাঙালির।
আর যার ফল স্বরূপ এখন টিআরপি তালিকায় ঊর্ধ্ব গতিতে ওপরের দিকে ছুটে চলেছে এই ধারাবাহিকটি। কার কাছে ওই মনের কথা এই মুহূর্তে দারুন জমজমাট একটি ধারাবাহিকে পরিণত হয়েছে। যেমন শক্তিশালী সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী। তেমনই বলিষ্ঠ গল্প। যার ফলে এই ধারাবাহিক অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকদের মন জয় করতে সফল হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে এমন একটি চরিত্র রয়েছে যে চরিত্রটিকে শুরুতে ভাবা হয়েছিল পজেটিভ একটি চরিত্র। অর্থাৎ শিমুলের ৫ বন্ধুর মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠার কথা ছিল প্রতীক্ষার। কিন্তু গল্প যত এগিয়েছে ধীরে ধীরে ভিলেনে পরিণত হয়েছে শিমুলের হবু জা। শিমুলকে সবার সামনে অপদস্থ হতে দেখলে, অপমানিত হতে দেখলে সে খুব খুশি হয়।
যদিও শিমুলের দেওর পলাশকে সে খুবই ভালোবাসে। আর তাই শিমুল পলাশের নামে ডিএম ম্যাডামের কাছে অভিযোগ করে এলে সে বাড়ি বয়ে ঝগড়া করতে চলে এসেছে তার স্বামীর নাম জন্য। হবু স্বামীকেই সে স্বামী বলতে বেশি ভালোবাসে। ভীষণ রকম আত্মকেন্দ্রিক মানুষ এই প্রতীক্ষা। ননদ পুতুলকে সে উঠতে বসতে অপমান করে। কিন্তু নিজের সবটুকু দিয়ে পুতুলকে আগলে রাখে শিমুল। পুতুলের প্রতিভাকে সে চিনে নিয়েছে। আর তাই ডিএম ম্যাডামের অনুষ্ঠানে সে পুতুলকেও নিজের সঙ্গে নিয়ে যাবে।
সেখানে গান গাওয়ার কথা রয়েছে পুতুলের। আর তা দেখেই কটাক্ষ করে প্রতীক্ষা। আর সেই সময় প্রতীক্ষাকে উচিত জবাব দেয় শিমুল। সে বলে সে চায় তার এবং পলাশের যেন বিয়ে হয়, এরপরই সে বলে ভগবান না করুক তোমাকে একদিন এই পলাশের জন্যই চোখের জলে ভাসতে হয়! তোমাদের বিয়েটাই আর না হয়। শিমুলের মুখে এই কথা শুনে চমকে ওঠে প্রতীক্ষা।