Bangla Serial

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: ‘বিধবা হয়ে মাতৃ প্রতিমা বরণ করবে না’! মধুবালাকে পরাগ-পলাশ বাধা দিতেই ত্রিশূল নিয়ে রণচন্ডী শিমুল

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের ক্ষেত্রে যে ধারাবাহিক দর্শকদের মনোরঞ্জনে অত্যন্ত সফল হয়েছে সেই ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা। তীব্রভাবে সমাজকেন্দ্রিক এই ধারাবাহিকটিতে উঠে এসেছে বিভিন্ন বাস্তব ধর্মী গল্প। আর যা তীব্রভাবে নাড়া দিয়েছে দর্শকদের। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্বই এখন ভীষণ রকম ভাবে উত্তেজনা মূলক।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধারাবাহিকের বেশ কিছু পর্ব দেখে বেশ ক্ষুন্ন হয়েছিলেন দর্শকরা। আসলে বাস্তবধর্মী গল্পকে হজম করতে সময় লাগে বৈকি। আর তাই ধীরে ধীরে এই ধারাবাহিকের গল্প বাস্তব সম্মত হতেই তা জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছে। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি পর্বই এখন চূড়ান্ত রকম ভাবে উপভোগ্য।

বর্তমান সমাজের প্রচলিত বিভিন্ন অন্ধবিশ্বাস এমনকি বধূ নি’র্যা’ত’নে’র গল্প ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। অন্যদিকে আবার নারী স্বাধীনতার গল্পও বলা হচ্ছে এই বাংলা ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই সমাজে চলা বিভিন্ন কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাসকে উপরে ফেলা হচ্ছে। আর যা দেখে বেশ প্রশংসাই করছেন দর্শকরা।

উল্লেখ্য, শ্বশুরবাড়িতে প্রতিপদে অপদস্থ শিমুল জীবনে ভালো থাকার উপায় খুঁজে নিয়েছে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে। পাড়ায় দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে সে এবং তার বন্ধুরা। পুজোর সমাপ্তি দশমীতে। বাঙালি মতে দুর্গাপুজোর দশমীতে মাকে বরণ করেন মহিলারা বিশেষ করে সধবারা। তারপর হয় সিঁদুর খেলা‌। মাকে সিঁদুর দেওয়া, এবং সিঁদুর খেলাতে অধিকার শুধুমাত্র সধবার। তবে এখন অবিবাহিতরাও সিঁদুর খেলা খেলে থাকেন। কিন্তু অবিবাহিত এবং বিধবাদের মাকে বরণ করার অধিকার নেই।

কিন্তু মা তো সবার কাছেই সমান মা কি সধবা বা বিধবা বোঝেন? উমা তো বাপের বাড়িতে আসে। সে সবার মেয়ে। আর সেই মেয়েকেই মিষ্টিমুখ করানোর অধিকার নেই একটি মানুষের শুধুমাত্র সে বিধবা বলে। আসলে এই নিয়ম শুধু মাত্রই সমাজ পরিচালিত। আর সমাজের বেঁধে দেওয়া সেই নিয়মকেই আমরা যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছি। আর এই নিয়মেরই পরিবর্তন দরকার।

আর সেই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে শিমুল। নিজের শাশুড়ি এবং পাড়ার অন্যান্য বিধবা শাশুড়িদের সে মাকে বরণ করতে বলে। বরণডালা তুলে দেয় নিজের শাশুড়ির হাতে। আজ যথারীতি শিমুলের শাশুড়ি মধুবালার দুই গুণধর ছেড়ে পরাগ, পলাশ মাকে বাধা দিতে চলে আসে। তারা কিছুতেই এই পাপ কাজ নাকি হতে দেবে না। আর তখনই মা দুর্গার হাত থেকে ত্রিশূল নিয়ে এসে পরাগ, পলাশকে আটকায় শিমুল। বলে আমাকে রাগিয়ে দিও না অনর্থ হয়ে যাবে। অন্যদিকে শিমুলের এই রূপ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান পাড়ার সবাই। আর নিশ্চিন্তে মাকে বরণ করেন মধুবালা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।