জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কোন গোপনে মন ভেসেছে (Kon Gopone Mon Veseche)। ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার পর থেকেই তারা জয় করেছে দর্শকদের মন। শিবরাত্রিতে তিস্তা অপরাজিতার প্রাণ বাঁচানোর কারণে তাকে বাড়ি নিয়ে এসেছে অপরাজিতা আর অনিকেত। তারপর শ্যামলীকে ডেকে অপরাজিতা বলেন তিস্তার জন্য শরবত বানাতে। শ্যামলীও প্রিয়ার ঘরে গিয়ে শাড়ি ছেড়ে চলে আসে শরবত বানিয়ে চলে যায় আর তিস্তা হয়ে ফিরে আসে সকলের সামনে। তারপর অনিকেত তাকে নিয়ে যায় বাড়িতে ছাড়ার জন্য।
গাড়িতে উঠেই অনিকেত সিঠ বেল্ট বাঁধতে যায় তিস্তার। কিন্তু তারপরই তার মনে পড়ে শ্যামলী শিঠ বেল্ট আটকাতে জানেনা কিন্তু এটা তিস্তা আর তিস্তা সিঠ বেল্ট আটকাতে জানে। সেটা ভেবে দাড়িয়ে যায় অনিকেত। শ্যামলীও বুঝে যায় ব্যাপারটা। অনিকেত তারপরও তিস্তাকে বলে আজকের দিনটা সে খুব ভালো করে কাটিয়েছে শুধুমাত্র তার জন্য। তবে শ্যামলীর মনে চলতে থাকে অন্য দ্বন্দ্ব। সে ভাবতে থাকে ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে কি বলবে অনিকেতকে।
তখনই তাকে অনিকেত জিজ্ঞাসা করে তাকে কোথায় নামবে সে। তখনই থতমত খেয়ে যায় শ্যামলী। এদিকে বাড়িতে প্রিয়া, ঠাম্মি আর অপ্রতিম ভাবতে থাকে এবার কি করা যায়। অপ্রতিম বলে তারা তো কেউ যায়নি যদি শ্যামলী কিছু ভুলভাল বলে বা করে বসে ঘাবড়ে গিয়ে। কিন্তু ঠাম্মি প্রিয়াকে বলে শ্যামলীকে একট ম্যাসেজ করে বলতে সাহসে রাখতে তারা আছে। প্রিয়াও তাই করে। ম্যাসেজটা পরে একটি বাড়ি সামনেই দাঁড়াতে বলে শ্যামলী অনিকেতকে। সেখানে দাঁড়িয়ে অনিকেত তাকে ধন্যবাদ দেয়।
অনিকেত বলে তাকে বাড়িতে ডেকে কফি খাওয়াতে। তখনই সেটা শুনে ভয় পেয়ে যায় শ্যামলী। সে ভাবতে থাকে একটা অচেনা লোকের বাড়িতে সে কিভাবে অনিকেতকে। ইয়ে গিয়ে কফি খাওয়াবে। কিন্তু তখনই অনিকেত বলে সে মজা করছে, আজ যাবে না। সেটা শুনেই হাফ ছেড়ে বাঁচে শ্যামলী। তারপর জোর করে সে পাঠিয়ে দেয় অনিকেতকে বাড়িতে। অনিকেত চলে গেলেই প্রিয়া আর অপ্রতিম আসে নিয়ে যায় শ্যামলীকে বাড়িতে। ওদিকে তৃষা আর অরুণাভ ভাবতে থাকে কে আসলে এই তিস্তা। তৃষা বলে সে জানবেন এই মেয়েটার পরিচয় কিন্তু অরুণাভ বলে এই মেয়েটা থাকলে তাদের সমস্যা কম হবে কারণ অনিকেত মেয়েটাকে মন দেবে।
পরেরদিন মিটিংয়ে সূর্য বাবু বলেন তারা অনিকেতদের এই অনুষ্ঠানের জন্য বলতে চান কারণ তারা দেখেছে আগের অনুষ্ঠানটা কত ভালো হয়েছিল। অনিকেত দেখে ট্যাব আনতে ভুলে গেছে সে। তাই সে প্রিয়াকে ফোন করে বলে ট্যাব দিয়ে যেতে কিন্তু প্রিয়ার পরীক্ষার জন্য সে শ্যামলীকে বলে দিয়ে আসতে। শ্যামলীকে সেখানে দেখে তাকে চলে যেতে বলে অনিকেত। সেটা শুনে খুব খুশি হয় অনিকেত। তখন সূর্য বাবু বলে অনুষ্ঠানে যে লুচি আলুর দম হয়েছিল সেটা সবচেয়ে ভালো ছিল তাই তারা চান সেটাই যেন হয়। কিন্তু তাদের বারণ করে দেয় তৃষ্ণা। তখন ভালো ভালো সেফদের দিয়ে রান্না করায় তারা কিন্তু তাদের কিছুই পছন্দ হয়না। তখন অনিকেতের বাবা বলেন শ্যামলীকে ডাকতে।
আরো পড়ুন:জ্যাস সান্যালের কামাল! এবার প্লে স্টোরে জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী গেম! ইন্সটল করে খেলতে ভুলবেন না!
অনিকেত না চাইলেও তাকে ডাকতে যায়। কিন্তু সেখানে যেতে বারণ করে দেয় শ্যামলী। তখন অনিকেত বলে সে তার স্ত্রী তাই তাকে অনিকেতের কথা শুনতে হবে। যেটা শুনে খুব খুশি হয় শ্যামলী। আর সেখানে গিয়ে কচুরি আলুর দম বানায় যেটা খেয়ে সূর্য বাবুদের পছন্দ হয় এবং তারাই অনিকেতদের সবটার দায়িত্ব দিয়ে দেয়। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি তাহলে শ্যামলীর প্রতি মন গলবে অনিকেত আর অপরাজিতার?