জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Shamik Chakraborty: সেই রাতেই ছিল বোনের বিয়ে…! দাদাগিরিতে সৌরভের সামনে আবেগে ভাসল ইচ্ছে পুতুলের জিষ্ণু 

ফিকশনের পাশাপাশি বাংলা নন ফিকশন শো’গুলিও বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। দর্শকরা এই এপিসোড গুলি দেখতেও খুব ভালোবাসেন।‌ আর বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়ালিটি শো হল‌ ‘দাদাগিরি (Dadagiri) ’!

বলাই বাহুল্য এই শো’তে দাদাগিরি করেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক, প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। খেলার ময়দান হোক বা টিভির পর্দা সর্বত্রই তিনি সমান স্বচ্ছন্দ। রিয়েলিটি শো দাদাগিরি’র সাফল্যই তার প্রমাণ। এই মঞ্চেও দীর্ঘদিন ধরে অবাধ চলেছে তার দাদাগিরি। জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়ে গেছে দাদাগিরি সিজন ১০।

এই অনুষ্ঠানটির জন্য বাঙালি গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকে। এই অনুষ্ঠানটির জন্য আলাদা রকমের জনপ্রিয়তা রয়েছে বাংলার মহারাজের। আর এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিভিন্ন সময় আসেন তারকারা। আবার অনেক সময় আসেন বাংলা ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এই যেমন সম্প্রতি এসেছিল জি বাংলার জনপ্রিয়তম ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলের সম্পূর্ণ পরিবার। হাসি-ঠাট্টায়, মজায়-আড্ডায় জমে উঠেছিল আসর।

আর সেখানেই দাদাকে স্মৃতির সরণিতে হাঁটালেন কৃষ্ণনগরের ভূমিপুত্র তথা অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী। এই মুহূর্তে ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকে জিষ্ণুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। অন্যতম নায়ক‌ও বটে।

মালদার প্রতিনিধিত্ব করছিলেন কৃষ্ণনগরের ভূমিপুত্র শমীক। আর তখন‌ই তিনি বলেন ছেলেবেলায় কৃষ্ণনগরে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে তিনি শুনেছেন এই পিচে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খেলে গিয়েছে। আর তাই দাদার সম্মানে পিচকে প্রণাম করে খেলতে নামতেন তিনি। তবে অভিনেতা জানান, তিনি একা নয়, সকলেই ওই পিচকে প্রণাম করে প্র্যাক্টিস শুরু করত। কারণ এটাই প্রথা।

আর অভিনেতার কথা শুনে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন স্বয়ং দাদা। নস্টালজিক হয়ে পড়ে তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে খেলেছি ওখানে। ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলছিলাম। অবশ্য প্রথম ইনিংসে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩৪০ রান। আমি সেদিন অনেক রান করেছিলাম। ম্যাচের চতুর্থ দিন আমার বোনের বিয়ে ছিল এখন‌ও মনে আছে। খেলা শেষ করেপাঁচটার সময় গাড়ি ধরে কৃষ্ণনগর থেকে এসে বোনের বিয়েতে যোগ দিয়েছিলাম। ১৯৯৪ সাল।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।