Bangla Serial

Anurager Chhowa: মিশকার ফাঁদে সূর্য! বাধ্য হয়ে দীপাকে ডিভোর্স দেবে! আজ বড় সিদ্ধান্ত

বেশ কয়েক মাস ধরে টিআরপি তালিকায় এক নম্বর থাকার পর, হয়েছে সম্প্রতি হয়েছে ছন্দপতন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের। জগদ্ধাত্রীর জৌলুশে ফিকে পড়েছে, মিশকার মা হওয়া ও তার নেপথ্য কাহিনী। তাই এক ধাক্কায় টিআরপির (TRP) বেঙ্গল টপার থেকে নেমে ৫ নম্বরে চলে এসেছে এই ধারাবাহিক। গত সপ্তাহের টিআরপি রিপোর্ট দেখেই তাই চোখ ছানাবড়া দর্শকদের।

‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে চলছে টান-টান উত্তেজনা। চলছে মিশকার সাধের অনুষ্ঠান। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গিয়েছে, সেনগুপ্ত বাড়িতে গমগম করছে অতিথিদের উপস্থিতিতে। এদিন অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রেসের লোকজনও। সেখানেই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। মিশকা জানায়, আইভিএফ পদ্ধতিতে নয়, মধ্যপ অবস্থায় সূর্যের সঙ্গে শারীরিক মিলনের ফলেই জন্ম নিয়েছে এই সন্তান।

দীপা যদিও একথা বিশ্বাস করতে চায় না। দীপা প্রমাণ দেখায়, আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হতে ডাক্তারের সাহায্য নিয়েছিল মিশকা। একটি ভিডিও-তে দেখা যায় ওই ডাক্তার স্বীকারও করছে মিশকা নিজে থেকেই স্যাম্পেল নিয়ে আসে তাঁর কাছে। যদিও পরে ওই ডাক্তার গ্রেফতার হন। নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দেয় মিশকাও। দীপার প্রমাণ নাকচ করে জানায়, ভিডিওটি আসলে ভুয়ো। সেনগুপ্ত বাড়ির অর্থবল প্রচুর। তার উপর ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশনও বহু আগে বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাই লাবণ্য সেনগুপ্তের জন্য কি একজন বাতিল হওয়া ডাক্তারকে ঘুষ দিয়ে তাঁর থেকে ভুয়ো প্রতিক্রিয়া নেওয়া খুব কঠিন নয়।

ঘটনাক্রমে সূর্য সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং মিশকার কথাগুলো অস্বীকার করে। তখনই সেনগুপ্ত বাড়ির সকলে মিশকাকে জিজ্ঞেস করে সে কি চায়? মিশকা জানায়, সে চায় সূর্য দীপাকে ডিভোর্স দিয়ে যেন তাঁকে বিয়ে করে। তাঁদের সন্তান যেন সসন্মানে বড় হতে পারে। সমাজে যেন তাঁর ও তাঁর সন্তানের গ্রহণ যোগ্যতা থাকুক। সেনগুপ্ত বাড়ির সকলে মিলে ঠিক করে মিশকার গর্ভের বাচ্চাকে সেনগুপ্ত বাড়িতে জায়গা দিলেও, জায়গা পাবে না মিশকা। যা শুনে বেজায় চটে মিশকা।

এখন প্রশ্ন হল, মিশকার চাপে পড়ে কি দীপাকে ডিভোর্স দেবে সূর্য? নাকি সব সত্যি সামনে আনতে সক্ষম হবে দীপা? সেনগুপ্ত পরিবার কি পারবে মিশকার ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে? জানতে হলে দেখবে হবে অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বগুলি।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।