বলা বাহুল্য বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে সেরা পাঁচে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেওয়া ধারাবাহিক হল জি বাংলায় (Zee Bangla) চলা নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu) ধারাবাহিকটি। চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি প্রথম পাঁচের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এই ধারাবাহিকটি বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে। বাঙালি দর্শকদের কাছে এই ধারাবাহিকটি ভীষণ রকম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন। আর যার ঝলক দেখা যাচ্ছে টিআরপি তালিকার ওপরে।
বলা বাহুল্য এই ধারাবাহিকটির ঘটনা প্রবাহ কিন্তু দর্শককে এই ধারাবাহিকটি দেখতে বাধ্য করেছে। দর্শককে বসিয়ে রাখছে এই ধারাবাহিকের সামনে। আর সেই কারণেই তো টানা নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকটি প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। একের পর এক সমস্যার সমাধান করে, অচলায়তন ভেঙে পর্ণা দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে অনায়াসে।
আর সেই সঙ্গে এই ধারাবাহিকে এসেই চলেছে একের পর এক ধামাকাদার সব পর্ব। আর উত্তেজনা বহুল এই পর্বগুলি দর্শকদের ভীষণ রকম ভাবে মনোরঞ্জন করেছে। এই ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে এক যৌথ পরিবারের গল্প। সেইসঙ্গে অবশ্যই রয়েছে ভিলেন। একটি নয় তিনটি। আর তাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে পর্ণা ও সৃজনের জীবন অতিষ্ট করে তোলা।
ভিলেন তিন্নি ও সুপ্রকাশ বটব্যাল ওরফে তিন্নির বটুসোনা। এই দুজনের ষড়যন্ত্রেই চাকরি হারায় সৃজন। আর এই মুহূর্তে বটুসোনা ফুলমাসি সেজে দত্ত বাড়িতেই ঘাঁটি গেড়েছে। সৃজনের পাশে দাঁড়াতে পর্ণা শাড়ি ব্যবসার মালিক হওয়ার নাটক করে সৃজনকে চাকরিও দেয়। পর্ণা শাড়ি সংস্থার মালকিন বিপাশা ব্যানার্জি সেজে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে পা রেখেছিল দত্ত বাড়িতে। এবং পর্ণা যে বাড়িতে নেই সেই নিয়েও সমস্ত প্ল্যান সে আগে থেকেই করে রেখেছিল। কিন্তু পর্ণার সমস্ত প্ল্যানের কথা আড়ি পেতে শুনে জেনে নেয় তিন্নির দিদি তথা পর্ণার জা মৌমিতা।
এরপর সে গিয়ে সব বলে দেয় তিন্নি এবং বটব্যালকে। এরপর দত্ত বাড়ির সবার সামনে বিপাশা ব্যানার্জিই যে পর্ণা তা ফাঁস করে দেয় এই দুজন। এই সত্যি প্রকাশ্যে আসতে দত্ত বাড়ির বাকি সদস্যরা রুষ্ট হলেও নাত বৌয়ের সমর্থন করেন ঠাম্মি। পর্ণার কান্ড দেখে হেসে তিনি সবাইকে বলেন এইভাবে স্বামীর পাশে থাকতে পারে কজন? তাহলে কি দত্ত বাড়ির সবাই সমর্থন করবে পর্ণাকে?