স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। সূর্য-দীপার সম্পর্কের টা’না’পো’ড়ে’ন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। যদিও বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্প হয়ে উঠেছে পৃথা ম্যাম কেন্দ্রিক। অর্জুনের জীবনে ঢুকতে বদ্ধপরিকর সে। কারণ অর্জুন একজন সফল ডাক্তার। একটি ইনস্টিটিউট চালায়। বেশ পয়সাওয়ালা। তাই অর্জুনের মা হয়ে গোটা জীবনটা আরামে কাটাতে পারবে সে। টাকা-পয়সার চিন্তা মাথায় থাকবে না।
এদিকে কোন ছোটবেলায় অর্জুন আর তার দুই ভাইবোনের কথা না ভেবে তাদের মা তাকে ছেড়ে চলে যায়। ছোট অর্জুন মা চলে যাওয়ার ক’ষ্ট পেয়ে পেয়ে এখন আর ভালোবাসার কা’ঙা’ল নয়। খোকা, দীপা আর ছোট্ট সোনা-রূপাকে আঁকড়ে ধরে ভালই দিন কাটছে তার। এদিকে, সব যখন ঠিকঠাক তখনই চক্রবর্তী বাড়িতে ঢোকে পৃথা। উদ্দেশ্য অর্জুনের মন জয়। এই মুহূর্তে অর্জুন, দীপা, অহনা, সোনা-রূপা, পৃথা, খোকা এক বাড়িতে থাকে।
এদিকে, ভিক্টর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ব’ধূ নি’র্যা’ত’নে’র মামলায় জে’লব’ন্দি ছিল সে। আর জে’ল থেকে বাইরে আসার জন্য মিথ্যে আ’ত্ম’হ’ত্যার নাটক করে সে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অর্জুন তার ভাইকে র’ক্ত দিয়ে প্রা’ণে বাঁচায়। হাজার হোক এক মায়ের পেটের ভাই। তবে অর্জুনের বক্তব্য কোনও ভাই হিসেবে নয়। একজন ডাক্তার হয়ে মূ’মু’র্ষ রো’গী’র প্রা’ণ বাঁচিয়েছে সে।
এদিকে সুস্থ হয়ে উঠে ভিক্টর ফের ছক ক’ষা শুরু করেছে। তার মাতৃদেবী সুবিধার নয়। তাই একাই জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। সবটা গুছিয়ে। এদিন ভিক্টরের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে আসে তিস্তা। এক দফা কথা বার্তা হয় তাদের। একেবারে অন্যরূপ ধারণ করেছে ভিক্টর। নিজের ভু’ল বুঝতে পেরেছে। আর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিস্তাকে ডি’ভো’র্স দিয়ে তাকে মুক্ত করে দেবে।
আরো পড়ুন: অষ্টমীর পর ফের জি বাংলায় আসছে নতুন পৌরাণিক কাহিনী! নায়ক, নায়িকা নাম জানলে চমকাবেন আপনিও
ভিক্টরের কথা শুনে খানিকটা মন গলে তিস্তার। মনে মনে ভাবে ভিক্টর সব বলছে, কিন্তু একবারও বলছে না আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করার কথা। কথার প্যাঁ’চে তিস্তাকে জড়িয়ে ফেলে ভিক্টর। আর তিস্তাও মনে মনে ভিক্টরকে আরেকটা সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবে। তাহলে কি ভিক্টরের কথার প্যাঁচে আরও একবার বো’কা বনবে তিস্তা?