পড়েছে ঠা ঠা করা গরম। দিনে দিনে হুহু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। আর গরমে বাজারে গিয়ে মাছ মাংস দেখলেও গরমের চোটে যে ইচ্ছেই করেনা এই ধরনের খাওয়ার খেতে। এই সময় যতটা সম্ভব হালকা হওয়ার খাওয়া উচিত। তাতে করে আপনাদের শরীরে আরও ভালো থাকবে। তাই এই চটচটে গরমে অনেকেই খেতে ভালোবাসেন পান্তা ভাত। এই গরমে পান্তা ভাত আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে কি ভাবছেন সঙ্গে কি খাবেন?
পান্তা ভাতের সঙ্গে অনেকেই খান আলু ভাজা, বড়া ভাজা, পাঁপড় ভজন, পেয়াজি ভেজে প্রভৃতি নানা ভাজা। সেটা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো নয়। তাই এবার আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একেবারে অন্য ধরনের রেসিপি। এবার পান্তা ভাতের সঙ্গে খেয়ে দেখুন পটলের ভর্তা(Patal Bharta)। একঘেঁয়ে রান্না থেকে এটি ঢের ভালো আর খেতেও হবে সুস্বাদু।
তবে প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, পান্তা ভাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, মেটাবোলাইট যেমন ভিটামিন ই, ফ্ল্যাভন, ফেনোলিক্স, ফাইটোস্টেরল, অ্যান্থোসায়ানিন, লিনোলিক অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া কোলেস্টরল কমায়, ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। পান্তা ভাত উপস্থিত মাইক্রোফ্লোরা প্রিবায়োটিক মতো কাজ করে যা আমাদের অন্ত্রের সংক্রমণ দুর করে, হজম শক্তি বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করে। তাহলে চলুন দেখে নিই কি কি লাগবে এই ভর্তা বানানোর জন্য।
উপকরণ:
পটল, কাঁচা পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা, রসুন, পরিমাণ অনুযায়ী সর্ষের তেল, স্বাদ অনুযায়ী লবণ
প্রণালি:
প্রথমেই পটলগুলো ধুয়ে মুছে নিয়ে পটলের গায়ে সর্ষের তেল মাখিয়ে নিন। তারপর একটু ছুরি দিয়ে পটলের গায়ে হালকা করে চিরে নিন। কারণ তাহলেই পটল আগুনে ফেটে যাবে না। এরপর টমেটো গুলোতেও মাখিয়ে নিন সর্ষের তেল। তারপর গ্যাস জ্বালিয়ে একটি জালি নিয়ে তাতে পটল, টমেটো, রসুন, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দুই পিঠ পুড়িয়ে নিন। এরপর পটলের খোসাগুলো কালো হয়ে এলে ঠান্ডা করে খোসা ছড়িয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন।
আরো পড়ুন: গরমকাল মানেই পটল! এই সব্জি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন দুরন্ত স্বাদের পটলের কোর্মা! রেসিপি মিস করবেন না
তারপর একে একে টমেটোর খোসাগুলোও ছড়িয়ে নিন। এবার ওই পাত্রে খোসা ছড়ানো টমেটো, রসুন আর কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিন। তারপর পরিমাণ অনুযায়ী সর্ষের তেল, লবণ, কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন। আপনারা চাইলে কড়াইয়ে পটলের জল টেনেও নিতে পারেন। তারপর পান্তা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই দারুন পটলের ভর্তা। একেবারে যেন অমৃত।