জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) চলে এসেছে তাদের শেষ সপ্তাহে। ধারাবাহিকে আসছে নতুন চমক। ময়ূরীকে রক্ত দেওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেঘ। মীনাক্ষী তাকে ভর্তি করান হাসপাতালে এবং জানিয়ে দেয় যে আর কিছুতেই মেঘ রক্ত দিতে পারবে না ময়ূরীকে। ওদিকে মেঘের দিয়ে আসা রক্ত নষ্ট হয়ে যায় হাসপাতালে। মেঘ একটু সুস্থ হলে অনিন্দ্য বাবুর কাছে ময়ূরীর হাসপাতাল থেকে ফোন আসে যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে ময়ূরী। সেই সংবাদ শুনেই অনিন্দ্য বাবু আর মধুমিতা চলে যায় ময়ূরীকে দেখতে।
এদিকে সবটা জেনে যায় মেঘ। তাকে মীনাক্ষী জানান মেঘের শরীরের পরিস্থিতি ভালো না থাকার কারণেই তিনি জানাননি মেঘকে। নীলও মেঘকে বলে এই পরিস্থিতিতে সে কিছুতেই ময়ূরী কাছে যেতে পারবেন না। গিনি মেঘকে বুঝিয়ে বলে শুনেছি মানুষ তার পাপের শাস্তি পায় এই জন্মেই তাই হয়তো হচ্ছে ময়ূরী সঙ্গে। সেও নিজের পাপের শাস্তি পাচ্ছে। ময়ূরী কোনও দিনও শুধরানোর মেয়ে নয় তাই যা হচ্ছে হয়তো ভালই হচ্ছে কিন্তু এইসব শুনেই নিজেকে শান্ত রাখতে পারেনা মেঘ। সে বলে যতই ময়ূরী অন্যায় করুক সেই চায়না তার দিদি মরে যায়।
মেঘ এও বলে সে এখন কিচটা সুস্থ আছে, সে কি পারেনা মেঘকে রক্ত দিতে সেটা শুনেই নীল বারণ করে দেয় মেঘকে। তাই মেঘ সিদ্ধান্ত নেয় সে পালাবে হাসপাতাল থেকে। যখন তার কেবিনে কেউ ছিল না সেই সুযোগ বুঝেই মেঘ একটা চুড়িদার পড়ে, নিজের শোয়ার জায়গায় একটা বালিশ দিয়ে বেরিয়ে যায় হাসপাতাল থেকে। বাইরে এসে একটা ক্যাব নিয়ে সে চলে যায় হাসপাতালে। ওদিকে হাসপাতালে ময়ূরীকে দেখার জন্য এসেছেন একজন নতুন ডাক্তার, ডাক্তার সান্যাল। তাকে দেখে অনিন্দ্য বাবু বলেন ময়ূরীকে কি বাঁচানো সম্ভব? তখন ডাক্তার বলেন তিনি চেষ্টা করছেন তবে রক্ত পাওয়া গেলে ভালো হতো নাহলে হয়তো কিছু করার থাকবে না।
তখন হাসপাতালে চল আসে মেঘ। সে জিজ্ঞাসা করে ডাক্তার সান্যালের ব্যাপারে। ডাক্তার সান্যাল আসে তাকে জিজ্ঞাসা করলে আসে বলে সে ময়ূরীকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে চায়। তিনি কে হন জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে মেঘ তাকে নিজের পরিচয় দেয়না কিন্তু পরে সে বলে দেয় সে ময়ূরী বোন। এদিকে হাসপাতালে মেঘকে ওষুধ খাওয়ার জন্য নার্স আসলে সে দেখে মেঘ হাসপাতাল থেকে চলে গেছে। সে তৎক্ষণাৎ ফোন করে নীলকে। নীল তখন অনিন্দ্য বাবুকে ফোন করে সবটা জানিয়ে দেয় এবং চলে যায় হাসপাতালে।
আরো পড়ুন:রক্ত দিয়ে ময়ূরীকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করছে মেঘ! নাকি বোনের অনিষ্ট করতে এটাই নতুন প্ল্যান ময়ূরীর?
মেঘের রক্ত দেওয়ার পর সে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে ময়ূরী বেঁচে যাবে কিন্তু ডাক্তার তাকে অসুস্থ করে কিন্তু তখনই জ্ঞান হারায় মেঘ। নীল আর মীনাক্ষী চলে আসে সেখানে এবং ডাক্তারকে বলে মেঘ দুদিন আগেই রক্ত দিয়েছে সেটা শুনেই ডাক্তারও চমকে যায়। মেঘকে ধরে কাঁদতে নীল। সে বলে তাকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাবে সে। ওদিকে ময়ূরীর জ্ঞান ফিরলে অনিন্দ্য বাবু তাকে বলে দেন তাকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে গিয়ে এখন মেঘ নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে সেটা শুনেই অবাক হয় ময়ূরী। মীনাক্ষীও বুঝতে পারেনা এখন তিনি কি করবেন? তাহলে কি মনে হয় তোমাদের ময়ূরী কি এবার বুঝতে পারবে নিজের ভুল?