বিয়ের পর বরকে ধরে রাখতে মাছ ধরার জালই যথেষ্ট। আর সেই বুদ্ধি দিল এই ধারাবাহিকে। মাছের জাল গলায় বেঁধেই ঘুরে বেড়াচ্ছে নতুন বউ। যা দেখে হেসে লুটোপুটি খেল দর্শক। বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিক টিকে রয়েছে টিআরপির উপর। যে ধারাবাহিকের টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিকের স্থায়ীকাল তত বেশি।
আর তাই এই টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টায় বর্তমানে সমস্ত ধারাবাহিক একপ্রকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। আর সেই যুদ্ধে জেতার জন্য একের পর এক টুইস্ট আনছে ধারাবাহিকগুলো। পাশাপাশি ধারাবাহিকেও আসছে নানান নতুন মুখ। এরসাথে আবার ট্রোলের মুখে পড়াও একরকম পরিচিত বাড়ানোর উপায়। ট্রোল যত হবে ভাইরাল তত হবে ধারাবাহিকের পর্ব।
আর তাই এখন বেশকিছু ধারাবাহিক সেই পথই বেছে নিচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে জি বাংলায় সদ্য আসা ধারাবাহিক ‘মুকুট’। ২৭ মার্চ থেকে জী বাংলায় শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। নতুন এই ধারাবাহিক মাত্র কিছুদিনেই স্লট হারায়। ধারাবাহিকে জুটি বেঁধেছেন শ্রাবণী ভুইয়াঁ ও অর্ঘ্য মিত্র। নতুন মেগার গল্প লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
ব্লুজ প্রোডাকশন হাউজের ব্যানারে এসেছে এই ‘মুকুট’। ধারাবাহিকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, শ্রীপর্ণা রায়, অপূর্ব ঘোষের মতো অভিনেতারা। প্রোমো থেকেই জানা গিয়েছিল, ‘মুকুট’ ধারাবাহিকে ব্যক্ত হবে একজন প্রতিমাশিল্পী মেয়ের গল্প। মুকুট রায়ানকে বিয়ে করে যে সামাজিক ন্যায়বিচারের একজন উৎসাহী উকিল এবং নারী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ধারাবাহিকটি আসা মাত্রই এসেছে এক নতুন মোড়। হয়তো লেখক টিআরপি আনতেই গল্পে আনে বিয়ের ট্র্যাক।
তবে নতুন বউ মুকুটকে বাড়ির কেউই মেনে নেয় না। আর এই মুকুটের গলায় দেখা যায় এক সোনার গহনা। যার লোভে আছে অনেকেই। তবে সেই গহনা কোনও সাধারণ নয়। গহনাটি অনেকটা মাছের জালের মতো দেখতে, তাতে আবার ডিজাইন করা কিছু মাছ। এরূপ আজব হার দেখেনি কোনও দর্শক। মুকুটের গলার সেই হার চোখ এড়োয়নি কারোর। শুরু হয়েছে মাছের জালের সেই হার নিয়ে ট্রোল।