বাংলা টেলিভিশনের সফলতম সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি এমনটা বলা যায়। কিন্তু আরও একজন রয়েছেন যিনি বাংলা টেলিভিশনে অন্যতম সফল সঞ্চালিকা। অবশ্যই আন্দাজ করতে পারছেন তিনি কে! তিনি রান্নাঘরের কর্ত্রী অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জি। তাঁকে চেনেন না এমন মানুষ মেলা ভার।
আসলে শুধুমাত্র রান্নাঘরের সঞ্চালনাই নয়, একাধিক বিতর্ক বিভিন্ন সময় শিরোনাম দখল করেছেন এই অভিনেত্রী। আসলে বলা যায় তিনি ভীষণ রকমের বিতর্কিত। তিনি মুখ খুললেই বিতর্কের জন্ম হয়। তিনি যাই করেন না কেন তাতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একদিকে যেমন সবাই তাঁকে ভালোবাসেন আবার কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না।
আসলে ব্যক্তিজীবনে ভীষণ রকমের অহংকারী হওয়ার কারণেই তাঁর অহং বোধ বা তিনি সবার থেকে শ্রেষ্ঠ এই ধারণা তাঁকে সমাজের রোষানলে ফেলেছে বারবার। বিভিন্ন সময় নিজের অহংকারী মন্তব্যের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কাছে কটাক্ষবিদ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা। অর্থ, শাড়ি, গয়না নিয়েই আসলে তাঁর দেখনদারি বড্ড বেশি এমনটাই বলে থাকে নেট দুনিয়া। মানুষজনকে দুমদাম অপমানও করে ফেলেন এই অভিনেত্রী- সঞ্চালিকা। আর যার জেরে তাঁকে হজম করতে হয় আমজনতার কটাক্ষ।
তবে এবার সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন কারণে সোশ্যাল মাধ্যমে ফের একবার ভাইরাল হলেন সুদীপা চ্যাটার্জি। পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী সুদীপা। নিন্দুকেরা বলে থাকেন পয়সার জন্যই নাকি অগ্নিদেবকে বিয়ে করেছিলেন সুদীপা। কিন্তু যে যাই বলুক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ের পর তার পরিবারকে মন দিয়ে ভালোবেসেছেন সুদীপা। জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রায় ১৩ বছর পর পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় বিয়ে করেন সুদীপাকে। পরিচালকের প্রথম পক্ষের ছেলে আকাশ চট্টোপাধ্যায় তখন বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করছে।
না বাবার জীবনে অন্য বান্ধবীকে মেনে নিতে পারেনি খুব সহজে আকাশ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ধীরে ধীরে সুদীপার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় আকাশের। আজ ৯ই জুন আকাশ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে আকাশের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে অকপট হলেন সুদীপা। সোশ্যাল মাধ্যমে জানালেন নিজেদের সম্পর্কের কথা। তিনি লিখলেন, আমি কখনও তোমার মা হতে পারব না। কিন্তু আমি গোটা জীবন তোমার ‘এই যো’ হয়ে থেকে যাব। অভিনেত্রী লিখলেন, আমি জানি আমার পাশে আর কেউ না থাকুক ভালোবাসা আর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তুমি থাকবে। আর তোমার পাশে আমি।
তিনি লিখেন আমরা দুজন দুজনের ভালো বন্ধু, সব থেকে বড় সমালোচক, কিন্তু তার থেকেও বড় একে অপরের সাপোর্ট সিস্টেম। প্রত্যেক বছর আকাশের জন্মদিনে নিজে হাতে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খাওয়ান সাজিয়ে খাওয়ান সুদীপা। অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন আকাশকে। আর সুদীপা আর অগ্নিদেবের সন্তান আদিদেবও দাদা আকাশ বলতে অজ্ঞান। এভাবেই ভালো থাকুক সবাই।