Connect with us

Bangla Serial

Victor Banerjee: সত্যজিৎ রায়কে ফিরিয়ে দেন! আজও তাকে সিনেমা অফার করতে ভয় পায় টলিউড! বিস্ফোরক ভিক্টর ব্যানার্জি

Published

on

vector banerjee

টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তার সমসাময়িক বহু অভিনেতা‌ই আজ আর ইহলোকে নেই। কিন্তু আজও তিনি নিজের অভিনয় দিয়ে মন মাতাচ্ছেন বাঙালির। তিনি বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জী (Victor Banerjee) । তার অভিনয় চিরটাকালই ছিল বাঙালির কাছে অন্যতম বড় প্রাপ্তি ষষ।

তবে দাপুটে এই অভিনেতা ক্রমেই বিস্মৃতির অতলে চলে গেছেন। বাংলা সিনেমায় এখন তার দেখা মেলাই ভার।‌‌ ৭৮ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে বহুদিন বাঙালি দর্শক ছোট পর্দা বা বড় পর্দা কোথাওই দেখেনি। তার অভিনীত প্রতিদান, আক্রোশ, দাদা ঠাকুর, দুই পৃথিবী’র মতো বাংলা ছবি আজও বাঙালির অত্যন্ত প্রিয়।

সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেনের মতো পরিচালকদের নির্দেশনায় কাজ করেছেন তিনি। আর এবার দীর্ঘ বিরতি শেষে আবার তিনি ফিরছেন বাংলা সিনেমায়৷ শিবপ্রসাদ-নন্দিতার পুজো রিলিজ রক্তবীজ-এ অভিনয় করতে চলেছেন। একেবারে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে ধরা দেবেন তিনি। যদিও শুটিং টুকুই করেন, কখন‌ই নিজের সিনেমা তিনি দেখেননা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন ‘আমি কারও ছবিই দেখি না। নিজের অভিনীত ছবিও নয়। শুধুমাত্র ‘ঘরে বাইরে’-র সময় মানিকদা জোর করে দেখিয়েছিলেন। সেই প্রথম আর সেটাই শেষ।’

বর্তমানে কলকাতাতে থাকেনও না তিনি। এখন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।শুধুমাত্র শুটিংয়ের জন্যই কলকাতা আসেন তিনি। চোখ অপারেশনের পর সিঁড়ি ভাঙতে সমস্যা হয়। আর তার জন্য শুধুমাত্র লাঠিই ভরসা তার। কাজ‌ও এখন ভীষণ কম করেন। এর কারণ হিসেবে অভিনেতা জানান, আমাকে অ্যাপ্রোচ করার সাহস খুব কম পরিচালকের রয়েছে।‌ বর্ষীয়ান অভিনেতার কথায়, আমি সময়ে কাজে আসি। কাজ সেরে বাড়ি চলে যাই। টুপি পরানোর যে কালচার এখানে আছে, আমি তার ঘোর বিরোধী।

হ্যাঁ, তিনি ভীষণভাবে স্পষ্টবাদী। আর সেই কারণেই সত্যজিৎ রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তিদের সিদ্ধান্ত, অভিনয়কে নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন তিনি। যে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন অভিনেতারা।‌ সেই মানিকদাকে না বলার ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন তিনি।‌ সত্যজিৎ রায় ভিক্টর ব্যানার্জিকে গণশত্রুতে অভিনয়ের অফার দিয়েছিলেন। কিন্তু চরিত্র পছন্দ হয়নি বলে সেই অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ভিক্টর। তারপর থেকে অবশ্য আর কখনই সত্যজিৎ রায়ের ডাক পাননি তিনি। কিন্তু আক্ষেপ নেই তার।