জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) যেন দিন দিন আরো উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে চলেছে, যেখানে প্রতিটা মুহূর্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চমক। দীর্ঘদিন ধরে রোহিত আর ফুলকি যে প্রমাণ জোগাড়ে ব্যস্ত ছিল, এবার তা পৌঁছেছে আদালতের টেবিলে। এবার কি শাস্তি পাবে রুদ্ররূপ? নাকি আবারো কপালের জোরে বেঁচে পালাবে সে? জানতে মরিয়া দশক থেকে চরিত্ররাও!
আজকের প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, বিচারক, আইনজীবী ও দর্শকদের সামনে পেশ হচ্ছে সেই চাঞ্চল্যকর ভিডিও, যেখানে ধরা পড়েছে রুদ্ররূপের গোপন অপরাধ। আদালতজুড়ে থমথমে নিঃশব্দতা, আর তারই মাঝে শুরু হয়েছে সত্যের লড়াই। উকিল স্পষ্ট জানিয়ে দেন—এই ভিডিওর ভিত্তিতেই তিনি প্রমাণ করে দেবেন যে রুদ্ররূপ-ই খুন করেছে রায়চৌধুরী পরিবারের বড় ছেলেকে।

এই কথা শুনেই আর স্থির থাকতে পারে না রোহিত, গর্জে উঠে সে জানায়—তার দাদার হত্যাকারী রুদ্ররূপ ছাড়া আর কেউ নয়। উত্তেজনার পারদ চড়তেই থাকে, আর সেই মুহূর্তেই ফুলকির চোখে পড়ে ভেঙে পড়া লাবণ্যকে, যার সামনে আজ দাঁড়িয়ে আছে রক্ত-মাংসের বাস্তবতা! এই দৃশ্য যেন শুধু একটা ধারাবাহিক নয়, এক সামাজিক চিত্রনাট্য।
একদিকে ন্যায়বিচারের জন্য ফুলকির লড়াই, অন্যদিকে রুদ্ররূপের চাতুরী—দর্শকেরা শ্বাস আটকে অপেক্ষা করছে আদালতের রায়ের। সত্যিই কি এই ভিডিও গ্রহণ করবে আদালত? না কি রুদ্র আবার চাল চালবে পালানোর? প্রতিটা প্রশ্নের জবাব লুকিয়ে আছে আজকের পর্বে। প্রোমো প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের উত্তেজনা তুঙ্গে। তাঁরা চাইছেন রুদ্ররূপের যেন কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হয়।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে ইতি! শুরুতেই শোনা গিয়েছিল শেষের খবর, এবার সত্যিই নামল পর্দা! জি বাংলার পর্দায় বন্ধ হচ্ছে জনপ্রিয় এক মিষ্টি প্রেমগাথা!
বহুদিনের জমানো রাগ, কান্না, ক্ষোভ যেন আজ একরাশ বিস্ফোরণে রূপ নিচ্ছে। ফুলকি শুধু একজন মেয়ে নয়, সে এক শক্তি, এক প্রতিবাদ—যার রক্তে মিশে আছে ন্যায়বিচারের তৃষ্ণা। রুদ্ররূপের মুখোশ খোলার অপেক্ষায় গোটা দর্শক মহল। তাই জানতে হলে শেষ পর্যন্ত রুদ্রর পরিণতি কী, ফুলকি কি আদৌ পাবে ন্যায়? চোখ রাখতেই হবে জি বাংলার পর্দায়, প্রতিদিন রাত ৭:৩০-এ ‘ফুলকি’-তে।