জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

গর্বিত বাংলা! সুরের মঞ্চে সেরা মানসী, ইন্ডিয়ান আইডল ১৫-এর মুকুট এলো বাংলার ঘরে! ২৫ লক্ষ টাকার প্রাইজের সঙ্গে এলো জাতীয় স্বীকৃতি!

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ (Indian Idol 15) আবারও তুলে আনল এক সুরের রত্নকে। ১৫তম সিজ়নের ট্রফি এবার এল ‘মানসী ঘোষে’ (Manasi Ghosh) এর ঘরে। অসাধারণ কণ্ঠ, সংবেদনশীল পরিবেশনা আর মঞ্চে আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতির জন্যেই বাজিমাত করলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে মানসী শুরু থেকেই নজর কাড়ছিলেন, আর গ্র্যান্ড ফিনালেতে এসে সেই মুগ্ধতা পৌঁছল চূড়ান্ত পর্যায়ে।

চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আরও পাঁচজন প্রতিযোগী। প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। শেষ রাউন্ডে খড়গপুরের প্রতিযোগী শুভজিৎ চক্রবর্তী (Subhajit Chakraborty) কে হারান তিনি। মানসীর কণ্ঠে ছিল এক অন্যরকম আবেগের ছোঁয়া, যা বিচারকদের মন জয় তো করেই, দর্শকদের কাছেও তাঁকে করে তোলে এক অনন্য প্রতিভা। মঞ্চে মানসীর শেষ পারফরম্যান্সের সময় দর্শকদের উচ্ছ্বাস যেন থামছিলই না।

ট্রফির পাশাপাশি মানসী পেয়েছেন ২৫ লক্ষ টাকার প্রাইজমানি। এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হয়ে এমন জয়ের গল্প নিঃসন্দেহে আরও বহু কণ্ঠের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ইতিমধ্যে এই খবর সনি টিভি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেল এ প্রকাশ করেছে। কার্যত এরপর থেকেই শুভেচ্ছা আর সাগরে ভাসছেন মানসী। মানসী জানান, এই জয়ের পিছনে শুধু তাঁর পরিশ্রম নয়, রয়েছে তাঁর পরিবারের ত্যাগ, শিক্ষকদের গাইডেন্স এবং দর্শকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা।

নিজের জয়ে তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। জয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে মানসী বলেন, “এই যাত্রাটা সহজ ছিল না। প্রতিটি পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে। এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে নিজের নাম লেখা, এটা শুধুই আমার নয়, এটা আমার রাজ্যের, আমার পরিবারের, আর সুরকে ভালোবাসা সমস্ত মানুষের জয়।” তিনি আরও বলেন, “এই জয় আমাকে আরও দায়িত্ববান করে তুলছে। আমি চাই ভবিষ্যতে আরও ভালো গান আপনাদের উপহার দিতে।”

মানসী আরো জানান, “বিজয়ী হওয়ার পর যে প্রাইজমানি তিনি পেয়েছেন তার কিছুটা অংশ তিনি তুলে রাখবেন সংগীত চর্চার জন্য আর কিছুটা দিয়ে একটা গাড়ি কিনবেন যাতে বাবা-মায়ের যাতায়াতে আর কোনো অসুবিধা না হয়।” প্রসঙ্গত শুরুর দিকের এক পর্বে মানসীর মা বাবা যখন এই শোতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন তারা জানিয়েছিলেন ছোটবেলা থেকেই মানসী খুব দায়িত্ববান, ছোটবেলা থেকে অনেক সংগ্রাম করে প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সে বড় হয়েছে।

মা বাবাকে কথা দিয়েছে ভবিষ্যতে অনেক বাড়ি গাড়ি করবে সে নিজের যোগ্যতায়। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর এবারের সিজ়ন যেমন প্রতিভার বিচারে ছিল সমৃদ্ধ, তেমনই আবার এক নতুন মুখকে দেশের সামনে তুলে ধরার দায়িত্বও সফলভাবে পালন করল। মানসী ঘোষের এই সাফল্য যেন প্রমাণ করে দেয়—যে কোনও প্রতিভাই যদি সঠিক মঞ্চ পায়, তবে তারা ছাপিয়ে যেতে পারে সব বাধা, আর সুরের জাদুতে জয় করতে পারে লাখো হৃদয়।

Piya Chanda