জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, বৃষ্টির রাতে আর্য-অপু আশ্রয় নেয় একটা পরিত্যক্ত বাড়িতে। ঘটনাচক্রে সেই বাড়ির সঙ্গে আর্যর অতীতের সম্পর্ক রয়েছে। অপুর জন্য খাবার আনতে যায় আর্য, তার আগে অপুকে বারণ করে বাড়ির বেশি ভেতরে যেতে। অপু ঘুরে ঘুরে বাড়িটার সবকিছু লক্ষ্য করতে থাকে, এমন সময় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি জানালা দিয়ে অপুকে বলে যে এই বাড়িতেই লুকিয়ে আছে তার সব প্রশ্নের উত্তর।
সে যেটা আসল মনে করছে সেটা নকল খুঁজলেই পাওয়া যাবে সব উত্তর। অপু প্রচন্ড ভয় পেয়ে বাড়ির ভেতরেই ঢুকে যায়। সেখানে গিয়ে ধুলো সরিয়ে সবকিছু দেখতে থাকে। সবকিছুই কেমন যেন তার চেনা, প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা শুরু হয় অপুর। এক সময় একটা আয়নার সামনে গিয়ে অপু দাঁড়াতেই, খুঁজে পায় আর্যর একটি ছবি। সেই ছবিটা আর তোর পাশে বসে এক মহিলা, কিন্তু তার মুখ স্পষ্ট নয়। হঠাৎ করে অপুর হাত থেকে ছবিটা পড়ে যায়, আবারও সেই বধূবরণের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে অপুর।

ছবিটা তুলতে যাবে, ঠিক এমন সময় আরও এসে হাজির হয়। সে অপুকে কিছু বলার আগেই অদ্ভুত আচরণ শুরু করে অপু। হাতের ছবিটা নিয়ে আর্যর দিকে অদ্ভুতভাবে হেটে এসে পরিচয় জিজ্ঞেস করে। অতীতকে সামনে দেখে আর্য ভেঙে পড়ে, অপর্ণাকে সবটা জানাবে ঠিক তখনই অজ্ঞান হয়ে যায় অপর্না। সেখানে উপস্থিত হয় কিঙ্কর। আর্যকে সাবধান করে, কোনও পরিস্থিতিতেই অতীত যেন না বেরোয়। আর্য জানায় সে অপর্ণাকে ভালোবেসে ফেলেছে, তার কাছ থেকে আর কিছু লুকানো সম্ভব না।
অপর্ণার শারীরিক অবস্থা আর আর্যর মানসিক অবস্থা দেখে, কিঙ্কর অপুকে বাড়ি পৌঁছে দিতে বলে আর্যকে। দুজনে চলে যেতে, কিঙ্কর সেখানে একা বসে ভাবতে থাকে যে অপর্ণা আসলে কে। এতদিন ধরে চাপা অতীত অপর্ণা বারবার কি করে সামনে আনছে। এদিকে অপুর বাড়িতে সবাই খুব চিন্তিত। হঠাৎ রুম্পাকে আর্য ফোন করে অপুকে ঘরে নিয়ে যেতে বলে। সবাই গিয়ে দেখতে পায় অচৈতন্য হয়ে আছে অপু। আর্য জানায়, বড় বিপদে পড়েছিল অপু, ঠিক সময়ে পৌঁছে যাওয়াতে বাঁচাতে পেরেছে সে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে অপুর মা বলেন, অপুর সঙ্গে নিশ্চয়ই আর্যর কোনও আলাদা সম্পর্ক আছে। না হলে বারবার বিপদে পড়লে অপুকে তিনি ঠিক বাঁচিয়ে নেন কিভাবে। রাতে অপুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। বারবার ফিরে আসতে থাকে ওই ছবিটার স্মৃতি। জ্বর, মাথা যন্ত্রণা সবমিলিয়ে আড়ষ্ট হয়ে আছে অপু। মা বাবা হাজার জিজ্ঞেস করাতেও কিছু বলে না সে, শুধু বলে আর্যর পরিচয় না জানলে তার শান্তি হবে না। এদিকে আজও বাড়ি ফিরে দেখে রাজলক্ষ্মী তার জন্য সারারাত জেগেছে।
আরও পড়ুনঃ ফের ছোটপর্দায় ফিরছেন শ্রুতি দাস, কিন্তু কার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন অভিনেত্রী?
তিনি এসে আর্যকে বলেন, রাতে স্বপ্নে রাজনন্দিনী এসে তাকে কিছু বলতে চেয়ে পারেনি। সেই আতঙ্কে তিনি সারারাত আর্যর জন্য অপেক্ষা করেছেন। আর্য ভেঙে পড়ে রাজলক্ষ্মী কে জানায়, আর কোনওভাবেই অতীতকে লুকিয়ে রাখা যাবে না, সে তার পথ খুঁজে নিয়েছে। এদিকে তারাসুন্দরী মা আবার ভবিষ্যৎবাণী করেন, অন্ধকারের পথে হাতটা শুরু হয়েছে অপু-আর্যর। এই রাস্তায় কষ্ট যেমন আছে, তেমন পরিণতিও হবে খুব ভালো।