জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য বাড়ি ফিরে মাকে দেখেই ভেঙে পড়ে। প্রথমবার আর্যকে এমন অস্থির দেখে, রাজলক্ষ্মীর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে কিছু একটা হয়েছে। আর্য সমানে বলে যাচ্ছে একই কথা, এতদিন ধরে লুকানো সত্যি এবার বলে দিতে হবে আর মিথ্যে বলা যাবে না।
অন্যদিকে অপু বারবার কেঁপে উঠছে ঘুমের ঘোরে। সেই বাড়ি, সেই ছবি আর ওই ব্যক্তির কথা অপুকে ভাবিয়ে তুলছে। মা-বাবা অপুকে অনেক করে জিজ্ঞেস করেন, আগের দিন কি এমন ঘটনা হলো যে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল, আর্যই বা কিভাবে তাকে খুঁজে পেলে? অপু কোন উত্তর দেয় না, শুধু একটা কথাই বলতে থাকে যে তার অনেক প্রশ্নের উত্তর দরকার।

এদিকে রাজলক্ষ্মী আর্যকে বোঝান, যে মিথ্যে দিয়ে অনেকগুলো জীবন নিয়ে গতিকে স্বাভাবিক রাখা যায়, যেই মিথ্যে কারোর ক্ষতি করে না সেটা মিথ্যে থাকাই ভালো। বরং সত্যি সামনে আসলে অনেকগুলো জীবন তছনছ হয়ে যাবে। মানসী দুজনের এই কথোপকথন শুনে আর্যকে প্রশ্ন করতে যাবে, এমন সময় অর্ক উপস্থিত হওয়ায় সে কোন কথাই বলতে পারে না।
একটু সুস্থ হতেই অপু ঠিক করে শেষবার তাকে অফিসে যেতেই হবে, নিজের প্রশ্নের উত্তর আর্যর কাছ থেকে নিতে। খুব চিন্তায় পড়ে যান অপুর মা-বাবা, এমন মানসিক পরিস্থিতি দেখে মেয়ের। অপু অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে এবং সারা রাস্তা আর্যর সঙ্গে ওই মেয়েটির ছবি নিয়ে ভাবতে থাকে। অফিসে যাওয়ার পথে আবার কিঙ্কর আগের রাতের ঘটনা নিয়ে খুব চিন্তায়।
কিঙ্কর ভাবে আর্য যদি সব সত্যি বলে দেয় অপর্ণাকে, তাহলে আর্যর সঙ্গে কিঙ্করও ফেঁসে যাবে। হঠাৎ করে তারাসুন্দরী মাকে দেখতে পায় কিঙ্কর, গাড়ি থামিয়ে তাকে গিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করে অপর্ণার পরিচয় নিয়ে। যবে থেকে আর্যর সঙ্গে অপর্ণার দেখা হয়েছে, তবে থেকেই মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধাঁধা নিয়ে তারাসুন্দরী মা তাদের সামনে হাজির হন কেন? কি সত্যি জানেন তিনি!
আরও পড়ুনঃ ‘‘সব মিলিয়েই আমার অবস্থা ক’রুণ!’’ “দুঃখের কথা না বলে পারলাম না!”— জীবনের কঠিন সময়ে অলকানন্দা গুহ! ব্যক্তিগত ক’ষ্টে বিধ্বস্ত, একের পর এক ধা’ক্কা! শারীরিক অবস্থার অবনতি, কাদের হারিয়ে ভে’ঙে পড়লেন অভিনেত্রী?
কিঙ্করের এত প্রশ্নের উত্তরে তারা সুন্দরী মা শুধু একটা কথাই বলেন, পাপ বেশিদিন চাপা থাকে না! পাপীকে শাস্তি পেতেই হয়। বিচার হওয়ার সময় এসে গেছে, বাড়ির সবাই সবটা জেনে যাবে। এদিকে অপর্ণা অফিসে পৌঁছে আর্যকে আগের রাতের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে, কিঙ্কর জানায় ওই বাড়িটা তাদের অফিস কর্মচারীর। কিন্তু অপর্ণার তা মনে হয় না, সে নিজে গিয়ে বাড়িটা দেখতে চায়।