জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য ঘুম থেকে খুব সকালে উঠে অফিসের কাজ করছে। রাজলক্ষ্মী এসে জানতে চায়, আর্যর শরীর ঠিক আছে কি না, তারপর অর্কও এসে তাদের যোগ দেয়। হঠাৎ করে কিছু একটা দেখে আর্য হন্তদন্ত হয়ে অফিসে উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। রাজলক্ষ্মী চিন্তায় পড়ে যায়, আর্যর এমন আচরণ দেখে।
এরপর দেখা যায় অফিসে রোজ দিনের মতো অপর্না আগে এসে কাজ শুরু করেছে, একে একে বাকি কর্মচারীরা আসতে থাকে। হঠাৎ করেই একদল সাংবাদিক ঢুকে পড়ে অফিসে, অপর্ণার ইন্টারভিউ নিতে। অপর্ণা কিছুই বুঝতে পারে না যে কি হচ্ছে তার সঙ্গে! সাংবাদিকরা তাকে জানায়, এখন যে খবরের শিরোনামে। আর্য এবং কিঙ্কর উপস্থিত হয় অফিসে, একজন কর্মচারী এসে জানায় তাদের রাজনন্দিনী শাড়ির সেলস্ বিশ্বজুড়ে ৪৫% বাড়িয়ে দিয়েছে অপর্ণা।

মনে মনে আর্য খুব গর্ববোধ করে অপর্ণার এই উন্নতির জন্য। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে কিভাবে সে এত কম সময় এই অসাধ্য সাধন করল? অপর্ণা জানায় সে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, বিশ্বের নানান দেশের লোকেদের জন্য। সেখানে বলা ছিল যারা এই শাড়ির প্রমোশনে অংশ নিতে চান, তাদেরকে শাড়ি পাঠানো হবে এবং তারা সেই শাড়ি পড়ে ছবি পাঠাবে। আরো বিভিন্ন রকম সাহায্য অবলম্বন করে অপর্না, এই অসাধ্য সাধন করেছে।
সবাই ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানাতে থাকে অপর্ণাকে, আর্য মনে মনে ঠিক করে, আজকেই সে তার নিজের মনের কথা বলে ফেলবে অপর্ণাকে। দেখা যায় অফিসের মধ্যে এক বৃদ্ধের ছদ্মবেশে মেঘরাজ সবকিছু লক্ষ্য করছে। কিঙ্কর বিষয়টা বুঝতে পেরে তাকে ধরতে গেলে, কাউকে দেখে না শুধুমাত্র মেঘরাজের ব্যবহৃত হলুদ রঙের বল ছাড়া। কিঙ্কর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
এদিকে আর্য নিজের মনের কথা একটা চিঠিতে লিখতে থাকে। পরবর্তীতে অপর্ণার হাতে সেই চিঠিটা ধরাতেই, অপর্ণাও একটা খাম ধরায় আর্যর হাতে। খামটা খুলতেই পায়ের তলার মাটি সরে যায় আর্যর। অপর্ণার সেই চিঠিটা আসলে চাকরি ছাড়ার আবেদন পত্র। অপর্ণা পরিষ্কার করে আর্যকে জানিয়ে দেয়, সে নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে, এবার তাকে দূরে যেতে হবে নিজের উন্নতির জন্য।
আরও পড়ুনঃ মহালয়া মানেই চেনা মুখের নতুন রূপ! জি বাংলায় দুর্গা রূপে চমক ইধিকা! শিবরূপে নাম উঠে আসছে জীতু-অভিষেকের! শেষমেশ মহাদেবের চরিত্রে ধরা দিচ্ছেন কোন জনপ্রিয় অভিনেতা?
মেঘরাজ আবারও লুকিয়ে সবটা দেখে কিছু একটা ফন্দি করে। অপর্ণা বাড়ি ফিরতেই মা-বাবা খুশিতে তাকে জড়িয়ে ধরে। অপর্ণা জানায় সে চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে, হঠাৎ করেই তার কাছে একটা চাকরির জন্য মেসেজ আসে। মেসেজে যাওয়া নম্বর দেখে ফোন করতেই অপর্ণা কে বলা হয়, আজকেই ইন্টারভিউ দিতে হবে, এমনকি তার বাড়িতে গাড়ি আসছে। এটা যে মেঘরাজের নতুন চক্রান্ত, ধরতে পারে না অপর্ণা।