জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘‘জীবনের ইচ্ছেটা আর কোনওদিন পূরণ হবে না’’ —দীর্ঘ অভিনয় জীবনের পরও এই না-পাওয়া তাড়িয়ে বেড়ায় অভিনেত্রী খেয়ালী দস্তিদারকে!

বাংলা বিনোদন জগতে আজ যাঁরা একের পর এক ধারাবাহিকে কাজ করছেন কিংবা বড়পর্দায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, তাঁদের অনেকে হয়তো জানেন না, একটা সময় ছিল যখন অভিনয়ের জগতে প্রবেশ মানেই ছিল আত্মত্যাগ আর সংগ্রামের গল্প। সেই সময়ের এক উজ্জ্বল মুখ ছিলেন খেয়ালী দস্তিদার। ‘১৩ পার্বণ’ ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় জীবনে যাঁর আত্মপ্রকাশ, আজ তিনিই নিজের জীবনের কিছু না-পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন।

খেয়ালী দস্তিদারের মতে, ‘১৩ পার্বণ’ ছিল বাংলার তৃতীয় ধারাবাহিক, যেটি বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, এই ধারাবাহিক থেকেই সব্যসাচী চক্রবর্তী, ইন্দ্রাণী হালদারের মতো বহু গুণী শিল্পীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে সময় ধারাবাহিক জনপ্রিয় হলেও, আজকের মতো তুমুল প্রচার বা চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নজরে থাকার সুযোগ ছিল না। বরং অভিনেতাদের ‘দ্বিতীয় সারির শিল্পী’ হিসেবে ভাবা হত, যেটা আজ ভাবলে অবাক হতে হয়।

খেয়ালী আরও বলেন, “তখন আমরা অভিনেতারা, এমনকি টেকনিশিয়ানরাও একটা পারিবারিক আবহে কাজ করতাম। স্টুডিওতে আসা মানেই যেন নিজের ঘরে ঢোকা। কিন্তু এখন সবটাই পেশাদার, হিসেবি আর ঠান্ডা। সেই আন্তরিকতাটাই হারিয়ে গেছে।” আজকের দুনিয়ায় যেখানে প্রচার, চর্চা আর সোশ্যাল মিডিয়াই সব, সেখানে খেয়ালীর মতো শিল্পীরা হারিয়ে গিয়েছেন লাইমলাইটের আড়ালে।

অভিনয়ে একাধিক সফলতা থাকলেও, খেয়ালী দস্তিদারের জীবনে একটি বিশেষ আক্ষেপ রয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমার জীবনের একটা ইচ্ছা ছিল হোডিংয়ের মুখ হওয়া। কিন্তু তা কোনওদিন সম্ভব হয়নি। কোনও প্রোমোশনাল ব্যানারে, কোনও বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংয়ে নিজের মুখ দেখিনি। এখন সেই আশা নেই। হয়তো এই আক্ষেপ নিয়েই চলে যেতে হবে একদিন।”

তবে খেয়ালী দস্তিদারের কণ্ঠে স্পষ্ট আত্মবিশ্বাসের সুর। তিনি মনে করেন, একজন শিল্পীর আসল পরিচয় তার কাজ, আর সেই কাজ দিয়েই আজও দর্শকের মনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। হোডিংয়ে না উঠলেও, দর্শকের মনের হোর্ডিংয়ে এখনও রয়ে গিয়েছেন তিনি। আর সেটাই তাঁর কাছে পরম পাওয়া।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।