জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ভোর হতে না হতেই একদিকে ঋষির বাড়ির লোকেরা দধি মঙ্গলের আয়োজন করছে। অন্যদিকে, ঋষি একটা প্রেমপত্র আর কিছু ফুল নিয়ে জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যায়। কাউকে না দেখতে পেয়ে সে ওগুলো রেখেই চলে আসে।
এরপর জ্যোতি অর্থাৎ উজির চোখে পড়ে সেগুলো। সে প্রেমপত্রটা পড়তেই বুঝতে পারে, ঋষি এই কয়েকটা দিনেই কতটা ভালোবেসে ফেলেছে তাকে। উজি গ্লানিবোধে মোর যেতে থাকে যে, ঋষির মন ভেঙে তাকে চলে যেতে হবে সবকিছু চুরি করে। দিদি নিশার চোখে ওই প্রেমপত্র আসতে সে ফেলে দিতে চায়, কিন্তু উজি বাধা দেয়।
তাদের মিথ্যে নাটক যাতে কেউ ধরতে না পারে, তাই নিশা উজির জন্য দধি মঙ্গলের ব্যবস্থা করেছে। উজি কিছুতেই খেতে চায় না, মিথ্যে নাটকে সে সত্যি সত্যি বিয়ের রীতি আর পালন করতে পারছে না। ওদিকে উজি আর নিশার ভাড়া করা বাবা এসে বলেন, তাঁকে ঠিক কখন পালাতে হবে যেন বলে দেওয়া হয়, নাহলে চুরি হওয়ার পর ধরা পড়তে পারে।
বর এবং কনে দু’জনেরই দধি মঙ্গল শেষ হতেই, সবাই গায়ে হলুদের তোড়জোড় শুরু করে। একান্তে ঘরে বসে উজির খুব মন খারাপ হয়, সে তার মৃত বাবা-মায়ের ছবির সামনে নিজের দুঃখের কথা বলতে থাকে। তার বাবার স্বপ্ন ছিল মেয়ে চাকরি পেলেই একটা ভালো ঘরে বিয়ে দেবেন। আজ উজির বিয়ে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মিথ্যে পরিচয়ে এবং অসৎ উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুনঃ শুটিং সেটে হঠাৎ বুকে ব্য’থা, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর! তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হল অভিনেতা জিতু কমলকে!
ওদিকে ঋষির জামাইবাবু শঙ্খ আবার সন্দেহ করতে শুরু করে জ্যোতিদের। স্বামী অচ্ছুতানন্দকে পুলিশদের সঙ্গে এত সাভাবিক এবং বন্ধুদের মতো ব্যবহার করতে দেখে সে সন্দেহ প্রকাশ করে। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ভানু ওরফে অচ্ছুতানন্দ বলে যে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই সে পুলিশদের হাত করেছে। এদিকে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে, তবে উজি কিছুতেই ঋষির গায়ে ছোঁয়ানো হলুদ মাখতে চায় না!
